সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রীরামপুর: বেহাল শ্রীরামপুরের শহিদ গোপীনাথ সেতু। বৃষ্টি হলেই ছোটো বড় একাধিক গর্তে জল জমে হয়ে ওঠে মরণফাঁদ। যে কোনও সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। খারাপ রাস্তার জন্য পূর্ত দফতরের ঘাড়ে দায় চাপিয়েছে পুরসভা। প্রশাসনকে খোঁচা দিয়েছে বিজেপিও। দ্রুত কাজ শুরুর আশ্বাস দিয়েছে পূর্ত দফতর।


পিচ উঠে গিয়ে তৈরি হয়েছে খানাখন্দ। সেই গর্তে বৃষ্টির জল জমলেই তৈরি হয় মরণফাঁদ। শুধু তাই নয়, আগাছা জন্মেছে সেতুর গায়ে যত্রতত্র ফাটল। সেতুর গা বেয়ে গিয়েছে বহু কেবল। বেরিয়ে রয়েছে তারের খোলা অংশ। এমনই অবস্থা হুগলির শ্রীরামপুরের শহিদ গোপীনাথ সেতুর।


১৯৯২ সালে তৈরি দিল্লি রোড থেকে জিটি রোড হয়ে শ্রীরামপুরে ঢোকার এই সেতু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এই ব্যস্ত সেতুতে বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা। স্থানীয় বাসিন্দা তাপস চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, দেড় দুমাস ধরে এরকম গর্ত, যেকোনো মুহুর্তে চাকা পড়ে দুর্ঘটনা ঘটছে।


আরও পড়ুন: কোটি টাকার তছরুপের অভিযোগ, সিবিআইয়ের জালে ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরির কোষাধ্যক্ষ


টোটো চালকের বক্তব্য, রিস্ক নিয়ে চালাতে হচ্ছে। উল্টে যাওয়ার চান্স থাকে। গাড়ি চালাতে ভয়ে লাগে। বিজেপির শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শ্যামল বোসের দাবি, “শ্রীরামপুর ব্রিজ বেহাল। কাটমানি নিয়ে কেবল লাগিয়েছে। গর্তের জন্য দুর্ঘটনা ঘটছে।’’ সেতুর জরাজীর্ণ অবস্থা নিয়ে পূর্ত দফতরের কোর্টেই বল ঠেলেছে শ্রীরামপুর পুরসভা। শ্রীরামপুরের তৃণমূল নেতা তথা প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য সন্তোষ কুমার সিংহ বলেন, “পিডব্লুডির হাতে ব্রিজ। আমরা এনিয়ে বারবার জানিয়েছি। আমরা আলোর ব্যবস্থা করেছি।কারা কেবল লাগিয়েছে জানি না। পিডব্লুডিকে দেখতে বলেছি।’’


যদিও পূর্ত দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, সেতুর গর্তগুলি বুজিয়ে দেওয়া হবে তার টেন্ডার হয়ে গেছে। পুজোর আগেই কাজ হবে। যে সব আগাছা জন্মেছে সব পরিষ্কার করে দেওয়া হবে। কেবলগুলি সম্ভব হলে  সেতুর তলা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। গত রবিবারই এই সেতুই দুর্ঘটনায় এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে।


আরও পড়ুন: শিলিগুড়িতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই পরপর তিনটি বাড়ি