সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, পাণ্ডুয়া: মোবাইল ফোনে আসক্তি, আত্মঘাতী ছাত্রী! বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার দগ্ধ মৃতদেহ। সুইসাইড নোটে মায়ের প্রতি অভিমান ব্যাক্ত ছাত্রীর। পান্ডুয়ার শ্রীপালা গ্রামের বাসিন্দা রুবি খাতুন কলকাতার একবালপুরে মাসির বাড়ি তে থেকে পড়াশোনা করত। ক্লাস টেনে পড়ত সে। স্কুল বন্ধ থাকায় দেড় বছর ধরে পান্ডুয়ার গ্রামের বাড়িতেই ছিল। এদিন সকাল দশটা নাগাদ তার কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীদের ডাকেন তার মা সাবিনা খাতুন। প্রতিবেশীরা এসে দরজা ভেঙে রুবির অগ্নিদগ্ধ মৃত দেহ দেখতে পায়।খবর দেওয়া হয় পান্ডুয়া থানার পুলিশ কে।পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠায় ময়না তদন্তে।পুলিশ সূত্রে খবর ভোররাতে যখন সবাই ঘুমিয়েছিলো তখন গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করে।
ছাত্রীর মা সাবিনা খাতুন বলেন, 'মেয়ে কলকাতার স্কুলের পড়তো। অনলাইন ক্লাস করতো। সব সময় মোবাইল ঘাঁটত।গেম খেলত বন্ধুদের সঙ্গে চ্যাট করত।বারন করলে শুনত না।বকাবকি করতাম। তাই আমার সঙ্গে কথা বন্ধ করে দেয়।'
গতকাল আধার কার্ডের জন্য গিয়েছিল। দুপুরে বাড়ি ফেরে। রাত নটা নাগাদ খেয়ে শুয়ে পরি আমি। সকাল ছটায় উঠি। মেয়ে দেরি করে ঘুম থেকে উঠত। আজ সকাল দশটা বেজে গেলেও না ওঠায় ডাকাডাকি করি। দরজায় খিল দিয়ে শুয়েছিল। জানলা দিয়ে দেখি নিচে পরে আছে। তারপর দরজা ভাঙা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে দরজা জানলা বন্ধ থাকায় কেউ টের পায়নি। ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। তাতে ওই ছাত্রী মায়ের প্রতি অভিমান ব্যাক্ত করেছে,তার মা কেন কথা বলত না সেই বিষয়ে উল্লেখ করে। পুলিশের অনুমান গেম খেলা নিয়ে মা বকাবকি করায় অভিমান হয়েছিল রুবির। সাবিনার প্রথম পক্ষের এক ছেলে এক মেয়ে।রুবির দাদা কলকাতায় কাজ করে।তাদের বাবার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর মা আবার বিয়ে করে।
আরও পড়ুন: স্বরূপনগর সীমান্তে আটক পাচারকারী, উদ্ধার কোটি টাকার সোনার বিস্কুট