সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি :  সামান্য স্বস্তি দিয়ে রাজ্যে কমেছে দৈনিক সংক্রমণ (Corona Infection)। রবিবারের তুলনায় সোমবার কমেছে টেস্টের সংখ্যাও। সোমবারের পরিসংখ্যান অনুসারে. রাজ্যে একদিনে আক্রান্ত হয়েছে ৯ হাজার ৩৮৫ জন। একদিনে মৃত্যু ৩৩ জনের। কলকাতায় একদিনে সংক্রমিত হয়েছেন ১ হাজার ৮৭৯। উত্তর ২৪ পরগনায় একদিনে মৃত ১১। হুগলিতে শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫৫০রও বেশি মানুষ। ১ জন করোনা আক্রান্তর মৃত্যু হয়েছে ওই জেলায়। 


এই পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমন রুখতে দোকান বাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল চুঁচুড়া পুরসভা। ব্যান্ডেল,কোদালিয়া-১,কোদালিয়া-২, দেবানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েত ও হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার কয়েকটি ওয়ার্ডের সমস্ত দোকান বাজার বন্ধ রয়েছে সকাল থেকে। ডানলপ থেকে তালডাঙা রবীন্দ্র নগর বাজার, ব্যান্ডেল বাজার ক্যানটিন বাজার,হুগলি কৃষ্ণপুর বাজার,চুঁচুড়া স্টেশন বাজার বন্ধ রয়েছে।

আরও :


দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে ঝাঁপের আগে বাড়ির লোককে ভিডিও পাঠালেন যুবক


এছাড়াও জিটি রোডের দুই পাশের ওষুধের দোকান ছাড়া সব দোকান পাট বন্ধ রয়েছে। করোনা সংক্রমন উর্ধ্বমুখী হওয়ায় কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছিল হুগলি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার জানান, ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য, পুলিশ ও পঞ্চায়েতের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দোকান বাজার বন্ধ রাখার।


প্রশাসন মনে করছে, করোনা-চেন ব্রেক করতে এছাড়া উপায় নেই। ব্যবসায়ীদের কিছু ক্ষতি হবে ঠিকই তবে মানুষের জীবন আগে তাই এই সিদ্ধান্ত। প্রশাসন যে নির্দেশ দিয়েছে তা মেনে মঙ্গলবার পূর্ণ দিবস এবং শনিবার অর্ধ দিবস সংশ্লিষ্ট বাজারগুলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


করোনা মোকাবিলায় হুগলির সিঙ্গুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সোম ও মঙ্গলবার, পরপর দু’ দিন বাজার বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে সিঙ্গুর বাজার-সহ বিভিন্ন বাজার, দোকানপাট বন্ধ ছিল। তবে কোথাও কোথাও ক্যামেরায় ধরা পড়েছে অসচেতনতার ছবি। সরকারি নির্দেশ অমান্য করে সিঙ্গুরে খোলা ছিল ফলের দোকান। ফল নষ্ট হবে, তাই হাওয়া লাগাতে দোকান খুলেছি, সাফাই দেন ফল বিক্রেতা। মাছের বাজারেও ধরা পড়ে বিধিভঙ্গের ছবি।