সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, এবিপি আনন্দ, হুগলি : চন্দননগরে (Chandannagar) জমজমাট জগদ্ধাত্রী পুজো (Jagaddhatri Puja)। পিছিয়ে নেই পাশের শহর চুঁচুড়াও (Chinsurah)। বড়বাজারের ‘চুঁচুড়া ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনে’র জগদ্ধাত্রী পুজো এবার ২৯ বছরে পা দিল। উপস্থিত হয়েছিলেন বহু বিশিষ্ট মানুষ। -
দুর্গাপুজো, কালীপুজোর রেশ কাটতে না কাটতেই, জগদ্ধাত্রী পুজোর আনন্দে মেতেছে বঙ্গবাসী। জগদ্ধাত্রী পুজো বলতেই যে জায়গার নাম সবার চোখের সামনে ভেসে ওঠে, তা হল চন্দননগর। কিন্তু, তার থেকে পিছিয়ে নেই পাশের চুঁচুড়াও।
সেখানকার বড়বাজারের ‘চুঁচুড়া ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনে’র জগদ্ধাত্রী পুজো এবার ২৯ বছরে পা দিল। চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা থেকে সুবিশাল মণ্ডপ। সঙ্গে অপূর্ব প্রতিমা। সঙ্গে প্রাপ্তি ঢাকের বাদ্যি। সোমবার চুঁচুড়ার বড়বাজারের এই পুজোয় উপস্থিত হয়েছিলেন লেক কালী বাড়ির সেবায়েত নিতাইচন্দ্র বসু-সহ বিশিষ্টরা।
জগদ্ধাত্রী পুজোয় এদিন মণ্ডপে মণ্ডপে দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো৷
আরও পড়ুন, 'ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি', পোস্তার ব্রিজ প্রসঙ্গ তুলে মোদিকে খোঁচা ফিরহাদের
জগদ্ধাত্রী পুজো কখন উদযাপিত হয়? দুর্গা নবমীর এক মাস পর এই উৎসব পালিত হয়। এটি একটি চার দিনব্যাপী উত্সব যেখানে উত্সবটি পূর্ণ উত্সাহের সাথে জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপিত হয়। জগদ্ধাত্রী পুজো কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী থেকে দশমী পর্যন্ত পালিত হয়।
জগদ্ধাত্রী পুজোয় ( Jagadhatri Puja) জন্য চন্দননগরে (Chandannagar) শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি তুঙ্গে। এবার পুজোর সপ্তমী থেকে একাদশী পর্যন্ত বাড়ানো হল লোকাল ট্রেনের (Local Train) সংখ্যা, খবর রেল (Rail) সূত্রে। যাত্রী সুবিধার্থে সারারাত চলবে লোকাল ট্রেন, এমনটাই জানান হয়েছে। পাশাপাশি নিরাপত্তাতেও কোন খামতি রাখছে না রেল ও রাজ্য পুলিশ (West Bengal Police)।
ইতিমধ্যেই আলোর শহর চন্দননগরকে মুড়ে ফেলা হয়েছে নিরাপত্তার চাদরে। গত দু'বছর করোনার ফলে জগদ্ধাত্রী পুজোয় নানা বিধি নিষেধ ছিল। তাই চন্দননগরের উৎসব সেভাবে জমেনি। কিন্তু এ বছর করোনা থেকে অনেকটাই স্বস্তি মিলেছে। তাই এবার বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাসে মাতবে চন্দননগর তথা হুগলিবাসী। মনে করা হচ্ছে এবছর লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটবে জগদ্ধাত্রী পুজোয়।