সঞ্চয়ন মিত্র, রিষড়া: রিষড়া স্টেশনে (Rishra Station) ট্রেন থেকে নামতেই বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee) আটকাল পুলিশ। তাঁকে এগোতে দেওয়া হবে না বলে পুলিশ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়। কিন্তু, আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলার দাবিতে অনড় থাকেন লকেট। এনিয়ে পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপি সাংসদ। পুলিশের বাধার মুখে রিষড়া স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ধর্নায় বসে পড়েন লকেট চট্টোপাধ্যায়। এর আগে সুকান্ত মজুদারকে (Sukanta Majumdar) আটকানো হলে, তিনিও বসে পড়েন ডানকুনিতে (Dankuni)।
পুলিশের সঙ্গে কথা হওয়ার সময় লকেট বলেন, এত যাত্রী যাতায়াত করছেন। এখানে ১৪৪ ধারা হতে পারে না। এনিয়ে পুলিশের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ তাঁর কথা কাটাকাটি হয়। স্বাভাবিকভাবেই তিনি গন্তব্যে পৌঁছতে পারছেন না। কার্যকর্তারাও তাঁকে নিয়ে এগোতে পারছেন না। প্রতিবাদে রিষড়া স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে বসে পড়েন লকেট। তিনি দাবি জানান, তাঁকে আক্রান্ত এলাকায় যেতে দিতে হবে। যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের কাছে পৌঁছতে দিতে হবে, এই দাবি জানান হুগলির বিজেপি সাংসদ।
রিষড়ায় ঘটনায় ক্রমশ চড়ছে রাজনৈতিক পারদ। তাঁদের হিংসা বিধ্বস্ত এলাকায় যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে ট্রেনে রিষড়ার পথ ধরেন লকেট চট্টোপাধ্য়ায় (Locket Chatterjee)। বিজেপির সাংসদ দলীয় সদস্যদের সঙ্গে আলাপচারিতার পর হঠাৎই নিজের গাড়ি ছেড়ে চলে যান বালি স্টেশনে। সেখান থেকে ট্রেন ধরে রিষড়ার পথ ধরেন তিনি।
কেন ট্রেনে রিষড়ার পথ ধরা জানতে চাইলে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'যেভাবে পুলিশ আটকাচ্ছে কী করব। ট্রেনের সম্পত্তি নষ্ট করা হয়েছে। একটি ধর্মীয় শোভাযাত্রাকে নিয়ে কতটা পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে, সেটা সামনে থেকে দেখা দরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো মুখে অনেক কথাই বলছেন, কিন্তু এখনও কেন কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি ? রাষ্ট্রের সম্পত্তি এভাবে নষ্ট করা হয়েছে, তার পরে না ধরপাকড় শুরু হয়েছে না কারোর থেকে জরিমানা নেওয়া হয়েছে। বাংলা শান্তিতে থাকার জায়গা। শিবপুর, ডালখোলার পর রিষড়ায় যা হচ্ছে তা মেনে নেওয়া যায় না।'
পাশাপাশি রাজ্যপালের রিষড়ায় যাওয়া ও কড়া বার্তা প্রসঙ্গে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সংযোজন, 'অভিভাবক হিসেবে ঠিক যেমনটা উচিত। রাজ্যপালও রাজ্যের অভিভাবক হিসেবে তেমন কাজই করেছেন।'
রাজ্যপালের বার্তা-
দফায় দফায় অশান্ত রিষড়া, ঘটনাস্থলে গিয়ে হিংসা বন্ধে কড়া বার্তা দেন রাজ্যপাল। জিও ওউর জিনে দো, অশান্ত রিষড়ায় গিয়ে মন্তব্য করেন রাজ্যপাল। দার্জিলিং সফর কাটছাঁট করে কলকাতায় ফিরেই সরাসরি রিষড়া যান তিনি। ঘুরে দেখলেন উপদ্রুত এলাকা। কথা বলেন স্থানীয়দের সঙ্গে। রিপোর্ট নেন সিপির থেকে। যান থানায়ও।
আরও পড়ুন ; 'অপরাধীরা গরাদের ভিতরে যাবে'', রিষড়ায় বার্তা রাজ্যপালের