শিবাশিস মৌলিক, হুগলি :  ফের আটকানো হল সুকান্ত মজুমদারকে ( Sukanta Majumdar )। সোমবার রিষড়ার ( Rishra ) পর আজ শ্রীরামপুরে ধর্নায় যেতে বাধা দেওয়া হয় বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে।


আটকে দেওয়া হয় সুকান্তর গাড়ি

ডানকুনির জগন্নাথপুরে দিল্লি রোডে আটকে দেওয়া হয় সুকান্তর গাড়ি। পুলিশের দাবি, সামনে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তাই গাড়ি এগোতে দেওয়া যাবে না। এই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়ান বিজেপি রাজ্য সভাপতি। এরপর দিল্লি রোডের উপরেই বসে পড়েন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ' মুখ্যমন্ত্রীর পাতা ফাঁদে পা দেবেন না। কিছুক্ষণ পরেই ধর্না শেষ করে রাজ্যপালের কাছে যাব। ১৭ বছরের ছাত্রকেও গ্রেফতার করা হচ্ছে। আমরা কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ চাইছি
মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে। যারা রামনবমীর মিছিলে বোমা মেরেছিল, মুখ্য়মন্ত্রী তাদের অনুপ্রেরণা দিচ্ছে।
পুলিশ যারা অশান্তি করছে তাদের আশ্রয় দিচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে। রাজ্যপালকে আমরা সবকিছু জানিয়ে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ চাইব। ' 

সোমবার কোন্নগরে তুলকালাম

সোমবারও সুকান্তর রিষড়া যাত্রা নিয়ে কোন্ননগরে তুলকালাম হয়। দলীয় কর্মীদের দেখতে রিষড়া যাওয়ার পথে, সোমবার দুপুরে কোন্নগরের বিশালাক্ষীতলায় আটকানো হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কনভয়। তিন দিক দিয়ে ব্যারিকেড করে রাস্তা আটকানো হয়। গাড়ি থেকে নামতে বাধা দেওয়া হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে। এরপরই, উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির পাশাপাশি  ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। যখন, পুলিশের গার্ডরেল ধরে ঠেলাঠেলি করছেন বিজেপির কর্মীরা, তখন গার্ডরেলের সামনে গাড়িতে বসে ছিলেন সুকান্ত মজুমদার। সঙ্গে ছিলেন বিজেপির আরেক সাংসদ জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতো। প্রায় ৫ ঘণ্টা চলে টানাপোড়েন। এরপর তিনি হুঁশিয়ারি দেন, মঙ্গলবার শ্রীরামপুরে ধর্নায় বসবেন তিনি। সেই মতো প্রস্তুতিও শুরু হয়ে যায়। 


 মঞ্চ খুলে ফেলে পুলিশ


কিন্তু সুকান্ত মজুমদার ধর্নায় বসার আগেই মঞ্চ খুলে ফেলে পুলিশ। সকাল থেকে শ্রীরামপুরের বটতলায় অবস্থানে বসার কথা ছিল বিজেপি রাজ্য সভাপতির। তার আগেই মঞ্চ খুলে দেয় পুলিশ।  সুকান্ত ছাড়াও এই ধর্না-অবস্থানে যোগ দেওয়ার কথা পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোর। কিন্তু তাঁদের সেই অবধি এগোতেই দেওয়া হয়নি। সুকান্ত মজুমদার পুলিশ কর্মীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন, তাঁরা দুজনেই সাংসদ। তাই তাঁদের যেতে দেওয়া হোক। আর সব জায়গায় তো ১৪৪ ধারা নেই ! কিন্তু সা সত্ত্বেও তাঁদের এগোতে দেওয়া হয়নি। 


৫ ঘণ্টা ধরে টানাপোড়েন

গতকাল দলীয় কর্মীদের দেখতে রিষড়া যাওয়ার পথে, কোন্নগরের বিশালাক্ষীতলায় আটকানো হয় সুকান্ত মজুমদারের কনভয়। প্রায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে চলে টানাপোড়েন। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান বিজেপি রাজ্য সভাপতি। এর প্রতিবাদেই এদিন অবস্থানে বসার সিদ্ধান্ত নেন সুকান্ত। এদিকে, গতকালের মতো আজও শ্রীরামপুর, রিষড়ার  একাধিক জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে।