সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, চুঁচুড়া: প্রিজন ভ্যানে (prison van) দুষ্কৃতীকে (miscreants) লক্ষ্য করে গুলি (shootout), মুহূর্তের মধ্যে তোলপাড় চুঁচুড়ার ইমামবাড়া হাসপাতাল (chinsurah imambara hospital)। টোটন বিশ্বাস নামে ওই দুষ্কৃতী গুলিবিদ্ধ, জানিয়েছে পুলিশ। তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। 


কী হয়েছে?
স্থানীয়দের একাংশের দাবি, এলাকায় রীতিমতো ত্রাসের রাজত্ব কায়েম ছিল টোটনের। খুন-সহ তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এ দিন আদালতে তোলার আগে দুপুর ১২টা নাগাদ ওই দুষ্কৃীতর মেডিক্যাল পরীক্ষা করাতে ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। সঙ্গে ছিল আরও কয়েক জন বন্দি। হঠাৎ গুলি। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, প্রিজন ভ্যান থেকে টোটন যখন নামছে তখনই গুলি চালানো হয়। সম্ভবত রোগীর পরিজন সেজেই হাসপাতাল চত্বরে আগে থেকে বসে ছিল হামলাকারীরা। আচমকা হামলায় ইমামবাড়া হাসপাতালে আতঙ্ক ছড়ায়, প্রিজন ভ্যানে বসে থাকা বাকিদের চোখেমুখেও তখন ভয়ের ছাপ স্পষ্ট। খবর পুলিশ সূত্রে। মুহূর্তের মধ্যে হাসপাতাল চত্বরের ছবিটা পাল্টা যায়। হুড়োহুড়ি, চিৎকার-চেঁচামেচি। বন্ধ হয়ে যায় জরুরি বিভাগের গেট। পুলিশ জানিয়েছে, গুলি লেগেছে টোটনের। তাকে সোজা হাসপাতালের ভিতর অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। 


কেন গুলি?
গণ্ডগোলের মাঝে পালায় হামলাকারীরা। ফলে এই মুহূর্তে কে বা কারা হামলা চালিয়েছে সেটা নিয়ে আঁধারে পুলিশ। গুলিচালনার কারণও স্পষ্ট নয়। ব্যক্তিগত শত্রুতা নাকি এলাকাদখলের লড়াই, কী দেখে রক্তপাত, আপাতত সেটাই বোঝার চেষ্টা করছেন  চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশকর্মীরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। হামলাকারীদের সন্ধান পেতে হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কিন্তু যে ভাবে পুলিশের প্রিজন ভ্যানেই হামলা চলল তাতে কিছুটা হলেও আতঙ্কে সাধারণ মানুষ। তাঁদের প্রশ্ন মূলত একটাই। পথে-ঘাটে চলা ফেরায় আমজনতার নিরাপত্তা তা হলে কতটুকু? উত্তর খুঁজছে চুঁচুড়া।


আরও পড়ুন:সোনাগাছিতে যৌনকর্মীকে নৃশংসভাবে খুন ! কী মোটিভ ? কীভাবে জালে অভিযুক্ত ?