হুগলি: পুরভোটে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘিরে উত্তাল একাধিক জেলা। এদিন টিকিট না পেয়ে কান্নায় ভাঙলেন তৃণমূল কর্মী। হুগলি তৃণমূল সভাপতির বাড়িতে গিয়ে ধর্নাও দেন তিনি।  টিকিট না পেয়ে কেঁদে ভাসালেন শম্পা বন্দ্যোপাধ্যায়। টিকিট পাওয়ার কথা বলেও না পাওয়ার অভিযোগ। তৃণমূল নেত্রীর বন্দ্যোপাধ্যায়, ‘মনোনয়ন শেষ না হওয়া পর্যন্ত কাটাছেঁড়া হতেই পারে। কে প্রার্থী হবে, আর কে হবে না, তা দলের ব্যাপার’। টিকিট না পাওয়ার ক্ষোভ নিয়ে মন্তব্য তৃণমূলের জেলা সভাপতির। 


তৃণমূল কংগ্রেসের হুগলি শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, "মনোনয়ন যতক্ষণ না জমা হচ্ছে ততক্ষণ প্রার্থী নিয়ে কাটাছেঁড়া হতে পারে। মনে হতে পারে একজনের থেকে আরেকজন ভালো। এটা দলের আভ্যন্তরীণ ব্যাপার কে প্রার্থী হবে কে হবে না।" হুগলির চুঁচুড়ায় বিদায়ী বোর্ডের বেশ কয়েকজন তৃণমূল কাউন্সিলর টিকিট পাননি। তা নিয়ে তৈরি হয়েছে অসন্তোষ।




পাশের জেলা হাওড়ার উলুবেড়িয়াতেও ক্ষোভের ছবি। তিনবারের কাউন্সিলর এবং প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান সুরজিৎ দাসকে এবার প্রার্থী করেনি তৃণমূল। প্রতিবাদে ৩ নম্বর ওয়ার্ডে দলীয় অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীদের একাংশ। ৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাথী নিয়ে তৈরি হয় অসন্তোষ। বিহিত চেয়ে উলুবেড়িয়া পূর্ব কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতিকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান কর্মীরা। প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভ উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরেও। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী বদলের দাবিতে জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের বাড়ির সামনে চলে বিক্ষোভ। 


প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষ, কামারহাটিতে কার্যত ‘ধর্মঘট’। বাস-টোটো-অটো বন্ধ করে দিল আইএনটিটিইউসি। ১ থেকে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী নিয়ে প্রতিবাদ। প্রার্থী বদল না করলে কাল কারখানাও বন্‍‍ধের হুঁশিয়ারি। এদিকে জেলায় জেলায় অশান্তি বাড়ছে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা নিয়ে। যা নিয়ে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের অভিযোগ, সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপি পরিকল্পনা করে করছে। তৃণমূলের কেউ বিক্ষোভ দেখায়নি।               


উত্তর থেকে দক্ষিণ, জেলায় জেলায় তৃণমূলের পুরসভার প্রার্থী তালিকা নিয়ে বিক্ষোভ। এখনও পর্যন্ত ১৮টি জেলা বিক্ষোভ হয়েছে। তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা নিয়ে বিক্ষোভ বর্ধমানেও। রাস্তা অবরোধ। পুলিশের সঙ্গে বচসা। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। প্রার্থী নিয়ে তৃণমূলকর্মীদের একাংশের বিক্ষোভ, পুলিশের লাঠিচার্জ। ১০ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী বদলের প্রতিবাদ। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থীকে কেন ১০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন। রবীন্দ্রনগর থানায় বিক্ষোভকারীদের সরাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বচসা, লাঠিচার্জ।