সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: নিজের কাজেই ব্যস্ত ছিলেন অনিল চৌধুরী (Anil Chowdhury)। কিন্তু হঠাৎই ছুরি (Knife), আগ্নেয়াস্ত্র (fire arms) নিয়ে আক্রমণের মুখোমুখি। কপাল জোরে প্রাণে বাঁচলেন শ্রীরামপুরের (Serampore) অস্থায়ী পুরকর্মী। ঠিক কী ঘটেছিল?


পুরকর্মীর ওপর ছুরি, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা


নিকাশি নালা তৈরির কাজ চলছিল। সেটারই দেখাশোনা করছিলেন শ্রীরামপুর পুরসভার অস্থায়ী কর্মী। তখনই হঠাৎ তাঁর ওপর ছুরি, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় এক দুষ্কৃতী।আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি না বের হওয়ায় প্রাণে বাঁচেন ওই পুরকর্মী। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।


শ্রীরামপুর পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে নিকাশি নালা তৈরির কাজ চলছে। অনিল চৌধুরী ওরফে ভোলা পুরসভার সেই কাজ দেখাশোনা করছিলেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, ভোলা তৃণমূল কর্মীও বটে। হঠাৎ তাঁকে আগ্নেয়াস্ত্র বের করে গুলি করতে যায় অপূর্ব বাগ নামে এক যুবক। হাত থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ছিটকে ফেলে দিলে পালানোর চেষ্টা করেন পুরকর্মী।ওয়ান শাটার থেকে গুলি বের হয়নি। তখন ছুরি দিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করে দুষ্কৃতী, এমনই অভিযোগ।


ঘটনাস্থলে চেঁচামেচি শুনে এলাকাবাসীরা বেরিয়ে এলে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। পরে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্তের বাড়ি ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের জাননগর রোড এলাকায়। সেখান থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।


আকস্মিক এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। আজ দুপুরে এই ঘটনার পর সন্ধ্যায় শ্রীরামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান গিরিধারী সাহা সহ কাউন্সিলররা শ্রীরামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। থানায় এলাকার বাসিন্দারা একত্রিত হন। ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পিন্টু নাগ বলেন, 'অপূর্ব মাদক বিক্রি করে। অসামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত। কী করে আগ্নেয়াস্ত্র পেল তা পুলিশ খতিয়ে দেখুক। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও বলেছেন যেখানে বেআইনি অস্ত্র আছে সব উদ্ধার করতে। পুলিশ চেষ্টা করছে, হয়তো একশো শতাংশ হয়নি। শ্রীরামপুরেও যদি এমন কিছু থাকে তাও দেখা হোক। মানুষ যেন নিশ্চিন্তে থাকতে পারে।'


আরও পড়ুন: Itahar News: আনন্দের মুহূর্তে নেমে এল বিষাদ, টিনের ঘরে জন্মদিন পালন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু একই পরিবারের ৩ সদস্যের


বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য ভাস্কর ভট্টাচার্য বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গ এখন বারুদের স্তূপের ওপরে আছে। বেআইনি অস্ত্র পাওয়া যাচ্ছে। ভাগ্য ভাল গুলিটা চলেনি। তাহলে আরও একটা খুন আমাদের দেখতে হত। তৃণমূলের নেতারা আসতে বাধ্য হচ্ছেন। তাঁরা ভয় পাচ্ছেন। আর পুলিশ এত অসহায় যে তৃণমূলের নেতারা না বললে, মুখ্যমন্ত্রী না বললে, কোনও কিছু করতে পারছে না।'


গোটা ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক দানা বেঁধেছে।