হুগলি: ফের পুজোর আগে ঝড়ের মুখে পড়ে ক্ষতি পাহাড় চুঁচুড়ার এই গ্রামে ( Chinsurah )। কয়েক সেকেন্ডের ঝড়ে লন্ডভন্ড চুঁচুড়ার বেনাভারুই গ্রাম (Rampage of Storm)। ভেঙে পড়ল পাঁচিল। উড়ে গেল ঘরের চাল। ক্ষতিগ্রস্ত বেশ কিছু চাষের জমি।
প্রসঙ্গত, এর আগে যেকটি দমকা ঝড় হয়েছে, তার সাক্ষী হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর, চন্দননগর এবং জুন মাসে আরামবাগও। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই দমকা ঝড়ে বেশ ক্ষতির মুখে পড়েছে এলাকাগুলি। তবে অশোকনগরেও দমকা ঝড়ে উড়ে গিয়েছিল একের পর এক ঘরের টিনের চাল। তবে পুজোর আগে ঝড়-বৃষ্টির মুখে পড়ে অতীতে একাধিকবার বড়সড় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
জুনের শুরু তখন। প্রচন্ড গরমের মধ্যে সেবার আচমকা ঝড়ে, আরামবাগে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছিল অভিষেকের সভাস্থল (Abhishek Banerjee)। পাশাপাশি হঠাৎ ঝড়ে দাঁতনে বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনার (Coromandel Express Accident) জন্য তৈরি ক্যাম্পেও বসিয়েছিল থাবা। সেপ্টেম্বরের শুরুতেও দমকা ঝড়ে (Storm) লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছিল বীরভূমের (Birbhum) লাভপুরের সাউগ্রামের বেশ একাধিক বাড়ি। উড়ে গিয়েছিল বাড়ির চাল ও ব্যবহার সামগ্রীও। অসহায় হয়ে পড়েছিল একের পর এক পরিবার। পুজোর আগে আচমকা ঝড়ে কার্যতই এক সমুদ্র অনিশ্চয়তার মুখেএবার এই এলাকার বাসিন্দারাও।
সেবার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গ্রামের ওই স্থানে ঝড়ের স্থায়িত্ব ছিল কয়েক মিনিট। তার সঙ্গে মুষলধারে বৃষ্টিপাত। কিন্তু তাতেই কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় লাভপুরের সাউগ্রামে ডাঙ্গাপাড়ার প্রায় ১০-১২ টি ঘর।এমনকি ঝড়ের তীব্রতা এতটাই ছিল,যে ঘরগুলির টিনের চাল উড়ে গিয়ে পড়েছিল কয়েকশো মিটার দূরে। যদিও হতাহতের কোনও খবর ছিল না,তবে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই মুহূর্তে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি আশ্রয় নিয়েছিলেন অন্যত্র।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বঙ্গোপসাগরে শক্তি বাড়াচ্ছে নিম্নচাপ। যার জেরে দুর্যোগের সম্ভাবনা রয়েছে। নিম্নচাপের প্রভাবে মঙ্গলবার পর্যন্ত গোটা দক্ষিণবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির চলতে পারে । উপকূল ও পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হবে। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে শনিবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলায়।
আরও পড়ুন, রাজভবনে শপথ নিলেন ধূপগুড়ির জয়ী TMC প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়
রবিবার ভারী বৃষ্টির সতর্কতা থাকবে বীরভূম মুর্শিদাবাদ এবং পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলাতে। সমুদ্র উত্তাল থাকায় মৎস্যজীবীদের মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সোম ও মঙ্গলবারেও বজ্রবিদ্যুৎ সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গের এ জেলাগুলিতে।উত্তরবঙ্গে রবিবার থেকে বৃষ্টি বাড়বে। সোম ও মঙ্গলবার মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। মঙ্গল থেকে বৃহস্পতিবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলায়।