হুগলি: সিঙ্গুরে একই পরিবারের চারজনকে খুনের (Murder) অভিযোগে তাদেরই আত্মীয় দীপক পটেলকে গ্রেফতার (Arrested) করল হুগলি জেলা (Hoogly) গ্রামীণ পুলিশ (Police)। গতকাল নিজের বাড়িতে খুন হন কাঠের ব্যবসায়ী দীনেশ পটেল, তাঁর স্ত্রী অনসূয়া পটেল, দীনেশের বাবা মাভজি পটেল ও ছেলে ভাবিক পটেল। খুনের অভিযোগ গ্রেফতার করা হয়েছে দীনেশের মামাতো ভাই দীপক পটেলকে। পুলিশ সূত্রে খবর, দীপক ওই কাঠের কলেই থাকতেন।  এই ঘটনায় দীপকের ভাই যোগেশ পটেলকে খুঁজছে পুলিশ। 


ধনেখালি, কোচবিহারের পর এবার সিঙ্গুরে এক পরিবারের ৪জন খুন। সম্পত্তি নিয়ে বিবাদে কুপিয়ে খুন, নেপথ্যে থাকতে পারে আত্মীয়ের হাতও, প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। । একই পরিবারের ৪ জনের মৃত্যুতে ঘণীভূত রহস্য।


নৃশংসভাবে খুন একই পরিবারের ৪ সদস্য। নিমেষে শেষ একটা গোটা পরিবার। খুনি কি পরিবারেরই কেউ?
একসঙ্গে চার চারটে খুনের ঘটনায় জোরাল হচ্ছে এই প্রশ্ন। খুন হয়েছেন, সিঙ্গুরের বাসিন্দা, কাঠের ব্যবসায়ী দীনেশ পটেল (৫০) তাঁর স্ত্রী অনসূয়া পটেল (৪৭) দীনেশের বাবা মাভজি পটেল (৭৬) ও ছেলে ভাবিক পটেলের (২৩)। 


 পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত ব্যবসায়ীর একটি কাঠের কল রয়েছে। সেখানকার এক কর্মীর দাবি, বৃহস্পতিবার ভোরে ব্যবসায়ীর এক আত্মীয়কে তিনি বাড়িতে ঢুকতে দেখেন। কিছুক্ষণ পরই তাড়াহুড়ো করে তাঁকে বেরিয়ে যেতে দেখে সন্দেহ হয় ওই কর্মীর। উপরে উঠে তিনি দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন গৃহকর্ত্রী অনসূয়া। 


পাশেই, রক্তে ভাসছে গৃহকর্তা, তাঁর ছেলে ও বাবার শরীর। পুলিশ সূত্রে খবর, তড়ঘড়ি নীচে নেমে স্থানীয়দের ঘটনার কথা জানান তিনি। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হল স্বামী-স্ত্রীকে। 


সিঙ্গুরের বাসিন্দা দিলীপ বটব্যাল বলেন, ভেতরে দেখি মহিলা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। সিঙ্গুর থেকে SSKM-এ আনা হলেও বাঁচানো যায়নি বাকিদেরও। সূত্রের খবর, এক আত্মীয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল পটেল পরিবারের। সেই বিবাদের কেন্দ্রবিন্দুতে কি সম্পত্তি? 


তার জেরেই কি খুন? সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না তদন্তকারীরা। আততায়ীর খোঁজে বাড়ির আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।