সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সোমনাথ মিত্র, হুগলি
: ডিওয়াইএফআই (DYFI) জেলা পরিষদ (Zilla Parishad) ঘেরাও অভিযান ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল চুঁচুড়ায়। আন্দোলনাকারীদের সামাল দিতে লাঠিচার্জের অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। 


কী ঘটেছিল?
সোমবার ছিল ডিওয়াইএফআইয়ের তরফে জেলা পরিষদ ঘেরাও এবং ডেপুটেশন কর্মসূচি। চুঁচুড়া ঘড়ির মোড় থেকে মিছিল করে জেলা পরিষদে গিয়ে ঘেরাও করার কর্মসূচি ছিল তাঁদের। সেই মতো চুঁচুড়া ঘড়ির মোড়ে জমায়েত করেন ডিওয়াইএফআই কর্মীরা। এর পরই মিছিল করে জেলা পরিষদের দিকে এগোতে থাকেন। কিন্তু পুলিশ বাধা দিলে তাদের সঙ্গে প্রথমে বচসায় জড়িয়ে পড়েন আন্দোলনকারীরা। যদিও বিষয়টি সেখানেই থামেনি। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন ডিওয়াইএফআই কর্মীরা। তাঁদের সামাল দিতে লাঠিচার্জ শুরু করে চুঁচুড়া থানার পুলিশ, অভিযোগ এমনই। ঘটনায় বেশ কয়েকজন ডিওয়াইএফআই কর্মী জখম হন। আহত হয়েছেন কয়েক জন পুলিশকর্মীও। 


প্রেক্ষাপট... 
সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছিলেন হুগলি জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার হন যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। তারপরই নাম জড়ায় শান্তনুর। অন্য দিকে হাইকোর্টের নির্দেশে বিদ্যালয়ের চাকরি খোয়ান হুগলি জেলা পরিষদের সদস্যা টুম্পা মেটে। শান্তনু গ্রেফতার হতেই তাঁর বিপুল সম্পত্তির কথা সামনে আসেন। হোটেল থেকে নামী রেস্তোরাঁ, ধাবা, গেস্ট হাউস, বাগান বাড়ি! জেলা পরিষদ কর্মাধ্যক্ষের একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে এদিন জেলা পরিষদ ঘেরাও করে ডেপুটেশন কর্মসূচি নেয় ডিওয়াইএফআই। সেই কর্মসূচিতে বাধা দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাধে। ডিওয়াইএফআই জেলা প্রেসিডেন্ট সুমন মাল বলেন, 'শান্তনু ব্যানার্জী ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। তাই তাঁকে জেলা পরিষদ থেকে বরখাস্ত করতে হবে। সেই দাবিতে জেলা পরিষদে আমরা সংগঠনের তরফে ডেপুটেশন দিতে যাচ্ছিলাম। পুলিশ আমাদের কর্মীদের বাধা দেয়, লাঠিচার্জ করে। ঘটনায় আমাদের বেশ কিছু কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁদের চুঁচুড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এবং বেশ কিছু কর্মীকে আটকে করেছে পুলিশ। তাঁদের না ছাড়লে আমরা কেউ এখান থেকে যাব না।' সঙ্গে আরও জানান,  শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেলা পরিষদের পদ থেকে বরখাস্ত না করলে আগামী দিনে ডিওয়াইএফআই আরও বড় আন্দোলন করবে বলে জানান তিনি।


আরও পড়ুন:পরীক্ষায় ০ পেয়েও রেজাল্টে ৫৪! OMR-জালিয়াতির ভয়াবহ নমুনা