সোমনাথ মিত্র, হুগলি: পঞ্চায়েতের স্থায়ী সমিতি (Panchayat Samiti) গঠন ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল খানাকুল (Khanakul)। ওরুন্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের স্থায়ী সমিতি গঠন ঘিরে সংঘর্ষ। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, দলবদল ঘিরে অশান্তি বাধে। এদিন পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের (BJP) সংঘর্ষ হয়েছে বলে খবর। গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের ১৪ জন সদস্য, বিজেপির ৯ জন। তৃণমূলের ৩ সদস্য বিজেপিকে সমর্থন করেও তৃণমূলে ফেরায় অশান্তির (Political Clash) সূত্রপাত বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। এদিন পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, বোমাবাজিরও অভিযোগ উঠেছে। জখম হন কয়েকজন পুলিশ কর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়ার।


কেন সংঘর্ষ?
ওরুন্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যদের অধিকাংশই তৃণমূল। যখন বোর্ড গঠন হয়, তখন দেখা যায় তৃণমূলের বেশ কয়েকজন সদস্য বিজেপিতে যোগদান করেন। কিন্তু বোর্ড গঠনের পর আর এক প্রস্ত ভোলবদল। অভিযোগ, বোর্ড গঠনের পরে তাঁরা ফের বিজেপিতে ফিরে আসেন। আজ, মঙ্গলবার সেখানে পঞ্চায়েতের স্থায়ী সমিতি গঠন ছিল। সেই ঘটনা ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এলাকা। ঘটনাস্থলে সকাল থেকেই পুলিশ মোতায়েন ছিল। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বচসা শুরু হয়। এলাকায় ব্যাপক ইটবৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জের অভিযোগ ওঠে। আপাতত এলাকায় শান্তি রয়েছে বলে খবর। বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এলাকায়। সমিতি গঠনের সময় দু'পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা ইট-পাটকেল ছুড়েছেন, বোমাবাজি করেছেন। বোমার আঘাতে পুলিশকর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়ার আহত হয়েছেন বলে খবর।


আগেও অশান্তি...
এর আগে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন ঘিরে অশান্তির সাক্ষী থেকেছে রাজ্য। গত ১১ অগাস্ট যেমন নদিয়ার রানাঘাটের দত্তপুলিয়া পঞ্চায়েত তেতে ওঠে। তৃণমূল বনাম বিজেপি সংঘর্ষে সে বারও ইটবৃষ্টি হয়েছিল। ভয়ে পালান তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক। সে যাত্রা বোর্ড গঠন আটকে যায়। পুলিশের লাঠিচার্জ থেকে অবরোধ। ভয়ঙ্কর অশান্তির সাক্ষী ছিল দত্তপুলিয়া পঞ্চায়েত। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে, সংঘর্ষের মাঝে পড়ে প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ককে পালাতেও দেখা গিয়েছিল একটি ভাইরাল ভিডিওতে। সকাল থেকে রাত, সন্ত্রাসের এই ছবিই ধরা পড়েছিল নদিয়ার দত্তপুলিয়ায়। রানাঘাট ২ নম্বর ব্লকের দত্তপুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে, ৩০ আসনের মধ্যে বিজেপি ও তৃণমূল উভয়ই ১৪টি করে আসনে জিতেছিল। ২টিতে জয়ী হয় সিপিএম। বোর্ড গঠনের সময় ভোটাভুটিতে, সিপিএমের ২ জয়ী প্রার্থীর মধ্য়ে ১ জন বিজেপিকে, অন্যজন তৃণমূলকে সমর্থন করেন। ফলে, তৃণমূল-বিজেপি দু'পক্ষই ফের সমান সমান হয়ে যায়। এই কারণে পুনরায় ভোটাভুটি শুরু হয়। তখনই শুরু হয় গন্ডগোল। কিছুক্ষণের মধ্যেই তা রাস্তায় নেমে আসে একে অন্যের দিকে ইটবৃষ্টি, এমনকি গুলি চালানোরও অভিযোগ ওঠে।
এদিন অশান্তির ছবি ধরা পড়ল খানাকুলে।


আরও পড়ুন:মঙ্গলে সোনা কিনে ঘরে বেঁধে রাখুন সৌভাগ্য, আজ বাংলায় সোনার দাম কত ?