সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: পঞ্চায়েত ভোটের (panchayat election) আগে, শ্রীরামপুরের (sreerampore) রাজ্যধরপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বিজেপি নেতার (BJP Leader) বাড়িতে আগুন (fire) লাগানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। গত কাল মাঝরাতে সিমলা মণ্ডলপাড়ায় বিজেপির এসটি-এসটি মোর্চার মণ্ডল সভাপতি প্রবীর বৈদ্যর বাড়িতে আগুন লাগে। ঘরের আসবাবপত্র পুড়ে যায়। অল্পের জন্য রক্ষা পান বিজেপি নেতা ও তাঁর পরিবারের লোকজন। অভিযোগ, তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের মদতেই আগুন লাগানো হয়। হামলা-যোগ অস্বীকার করেছে শাসক শিবির।
কী ঘটেছিল?
বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। গত ১৩ বছর ধরে একটি জমি নিয়ে মামলা চলছিল। সেই কারণেই তৃণমূল আশ্রিত জমি মাফিয়ারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। এবং কাজে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের সাহায্য নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। গত রাতে হঠাতই কুকুরের ডাকে ঘুম ভেঙে যায় বাড়িটির বাসিন্দাদের। তখনই আগুন নজরে আসে। তবে এই ঘটনার আগেই বাড়ির বাগানে কেউ কেউ হাঁটাচলা করছিল বলে নজরে এসেছিল, অভিযোগ বাসিন্দাদের। রাতে দমকলের একটি ইঞ্জিন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পর দিন সকালে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ পৌঁছয় সেখানে। তৃণমূল অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের পাল্টা যুক্তি, হালে তৃণমূল থেকে বিজেপি গিয়েছেন এমন কোনও নব্যবিজেপির ক্ষেত্রেই এমন হামলা চলে থাকতে পারে। তদন্ত করছে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ।
হালেই এক অভিযোগ উত্তরবঙ্গে...
গত ৬ ডিসেম্বর দিনহাটার আমবাড়িতে বিজেপির মণ্ডল সভাপতির দফায় দফায় হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল। ওই ঘটনায় ১৩ জন তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতারও করা হয়। যদিও পুলিশের বিরুদ্ধেই চক্রান্তের অভিযোগ তোলেন তৃণমূল নেতা-কর্মীদের একাংশ। ধৃতদের ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিজেপির ২৩ নম্বর মণ্ডল সভাপতি বিদ্যুৎকমল সরকারের নেতৃত্বে দিনহাটার আমবাড়ি এলাকায় একটি মিছিল হয়েছিল। ডায়মন্ড হারবারে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মিছিলে বিজেপি কর্মীদের আসতে বাধা দেওয়া হচ্ছে এই অভিযোগে যে তোলপাড় শুরু হয়েছিল, তারই বিরোধিতায় মিছিল করেন বিদ্যুৎকমল সরকার। এদিন সেই মিছিলের প্রতিবাদে আমবাড়িতেই পাল্টা মিছিল করে তৃণমূল। সেখানেই দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এই ঘটনায় তিন তৃণমূল কর্মী জখম হন বলে অভিযোগ। পাশাপাশি বিদ্যুৎকমল সরকারের বাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে দাবি। এতেই শেষ নয়। মিছিলের পর ফের বিজেপির মণ্ডল সভাপতির বাড়িতে ভাঙচুর চলে। ঘটনার জেরে এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করতে হয়। পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু যে বিজেপি নেতার বাড়িতে ভাঙচুর চলেছে, তিনি গত কাল থেকেই বাড়িতে নেই। সূত্রের খবর, তাঁর পাশে আরও একটি বাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়েছিল। সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তাদের দাবি, সবটাই ভিত্তিহীন। শাসকদলের মিছিল শান্তিপূর্ণ ভাবেই হয়েছে। তবে পঞ্চায়েত ভোটের আগে অশান্ত দিনহাটার নানা এলাকা।
আরও পড়ুন:বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কমল ২ শতাংশের বেশি, কলকাতায় কত দাম হল পেট্রলের ?