সৌরভ বন্দ্য়োপাধ্য়ায়, হুগলি: পানীয় জলের লাইনের বিনিময়ে বেআইনিভাবে টাকা নিয়েছেন ঠিকাদার! স্থানীয়দের থেকে এই অভিযোগ পেয়ে, ঠিকাদারকে রীতিমতো ধমক দিলেন চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। তৃণমূলের কাছে টাকার ভাগ পৌঁছয়নি, তাই নাটক করছে, পাল্টা কটাক্ষ করেছে বিজেপি। (BJP) 


যা জানা গেল...
'তুমি টাকা স্পটে নিয়েছ, তোমায় এই ক্ষমতা কে দিয়েছে? টাকা নিতে হলে মিউনিসিপ্য়ালিটি টাকা নেবে। তুমি কে? তুমি কে টাকা নেওয়ার? কেন তুমি টাকা নিয়েছ?', বলছেন চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। (Asit Majumdar) ঠিকাদারকে কার্যত ধমক দিতে শোনা যায় তাঁকে। অভিযোগ,  পানীয় জলের লাইনের বিনিময়ে বেআইনিভাবে টাকা নিয়েছেন ঠিকাদার।  হুগলির চুঁচুড়ার জগুদাস পাড়ায় উঠেছে এমনই অভিযোগ। খবর পেয়েই, পরিস্থিতি সামাল দিতে ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সিআইসিকে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান চুঁচুড়ার বিধায়ক। তার পরই কিছুটা এমন কথোপকথন চলে। অসিত মজুমদার প্রশ্ন করেন, 'তুমি চেয়ারম্য়ানকে জানিয়েছ?' ঠিকাদার জবাব দেন ' না'। চুঁচুড়ার বিধায়কের পাল্টা প্রশ্ন ছিল, 'তুমি CIC-কে জানিয়েছ? ' তাতেও ঠিকাদার জবাব দেন, তিনি জানাননি। এর পরই কার্যত নির্দেশের সুর তৃণমূল বিধায়ককে বলতে শোনা যায়, 'ফেরত দাও সব টাকা।'


প্রেক্ষাপট...
হালেই ১১ নম্বর ওয়ার্ডে জলের লাইনের কাজ হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ, সেই কাজের বিনিময়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে টাকা নিয়েছিল ঠিকাদার সংস্থা। জগুদাসপাড়ার বাসিন্দা বিশ্বনাথ দাসের কথায়, 'ঠিকাদার বলল পাইপ বসাতে টাকা দিতে হবে।পাইপের যা মাপ বলল হিসাব করে দেখলাম আড়াই হাজার টাকা।টাকা দিয়ে দিলাম।' আর এক বাসিন্দা নমিতা দাস আবার বললেন, 'রসিদ ছাড়া টাকা নিয়ে গিয়েছে। টাকা ফেরত চেয়েছিলাম। দেয়নি। বিধায়ক এসে টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করেছেন।' এই পরিস্থিতিতেই টাকা ঠিকাদার সংস্থার উপর চাপ সৃষ্টি করতে বাধ্য হন তৃণমূল বিধায়ক, এমনই প্রাথমিক ভাবে শোনা যাচ্ছে। তাঁর নিজের কথায়, 'চেয়ারম্য়ান জানে না, CIC জানে না। কাউন্সিলর জানে না। বেআইনিভাবে গরিব মানুষের থেকে টাকা নিয়েছে। যদি টাকা নিতে হয় পুরসভার পারমিশন নিক। রসিদ দেবে। বাপের জমিদারি পেয়েছে?'হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার জল সম্পদ উন্নয়ন দফতরের CIC, দিব্য়েন্দু অধিকারীও বললেন, 'একদম বিনা পয়সায় এই জল বাড়িতে দেওয়া হচ্ছে। পনেরো মিটার লাইনের জন্য কোনো টাকা দেওয়া হচ্ছে না।ঠিকাদার কেন টাকা নিল জানিনা।' বিষয়টি যদিও এইভাবে দেখতে রাজি নয় বিজেপি। .তাদের হুগলি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউয়ের মতে, 'টাকা ওঠে এভাবেই। তার ভাগ যায় নেতাদের কাছে।তবে ঠিকাদার হয়ত এবার না বলে তুলেছেন।তাই টাকা ফেরতের নাটক।' সব মিলিয়ে বেআইনিভাবে টাকা তোলা নিয়ে তুঙ্গে তরজা। 


 


আরও পড়ুন:লক্ষ্যের পথে আরও একধাপ, ফের একবার কক্ষপথ বদলে এগিয়ে গেল ISRO র সৌরযান