আরামবাগ : পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) আগে হুগলির আরামবাগে (Hooghly Arambagh) গ্রেফতার তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত প্রধান। ধৃত আব্দুল আজিজ খান হরিণখোলা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। এক অভিযুক্তকে ধরতে বাধা দেওয়া ও পুলিশের গাড়ি আটকানোর চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার পঞ্চায়েত প্রধান। রবিবার রাতে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে গিয়ে প্রধানের বাধার মুখে পড়ে আরামবাগ থানার পুলিশ। সেই সুযোগে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত, গা ঢাকা দেন তৃণমূলের প্রধানও। গতকাল তারকেশ্বর থেকে তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে। গ্রেফতারের নেপথ্যে রাজনীতি রয়েছে বলে দাবি করেছেন ধৃত পঞ্চায়েত প্রধান ।


এর আগে অন্যত্র খুনের ঘটনায় গ্রেফতার শাসক দলের একাধিক নেতা-কর্মী-


কোথাও মারধর, কোথাও রক্তপাত, কোথাও প্রাণহানি। পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্ব থেকেই, সপ্তমে অশান্তির পারদ। যা দেখে অনেকে বলছেন, এ তো আঠেরোর পুনরাবৃত্তি!


প্রথমে ২ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। তারপর শাবল দিয়ে আঘাত, হাঁসুয়া দিয়ে কোপ। শেষে, একেবারে সামনে এসে পরপর ৬টা গুলি!
অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্য়ে, মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে শুক্রবার বিকেলে এভাবেই খুন করা হয় কংগ্রেসকর্মী ফুলচাঁদ শেখকে। কংগ্রেস কর্মীকে খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিন তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শেষ যাকে গ্রেফতার করা হয়, তার নাম ইমরান শেখের। তার নাম ছিল এফআইআরে।


এর আগে এফআইআরে নাম থাকা আরও দুই তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করে খড়গ্রাম থানার পুলিশ। যদিও এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য রফিকুল শেখ। তাঁর পরিবার খুনে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। 


শুক্রবার, মনোনয়ন পর্বের প্রথম দিনেই খুন হন কংগ্রেস কর্মী ফুলচাঁদ শেখ। ঘটনার পর থেকে থমথমে গোটা গ্রাম। নিহতের পরিবার দাবি করে, তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে আসায় আক্রোশবশত হামলা চালানো হয়। অন্যদিকে, গ্রাম্য বিবাদে খুন হলেও, শাসকদলকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা চলছে বলে পাল্টা দাবি করে তৃণমূল।


খুনের পর ঘরের বাসনপত্র লুঠ, বিদ্যুতের লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে। এ কোন ধরনের মধ্যযুগীয় বর্বরতা ? পঞ্চায়েত ভোট লুঠ করে দখলের অভিপ্রায় থাকলে ভোট বন্ধ করে দিলেন না কেন মুখ্যমন্ত্রী? ভোটের নামে গরিব, অসহায় পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবারের উপর পাশবিক আক্রমণ কেন? খড়গ্রামে নিহত কংগ্রেস কর্মীর বাড়ি গিয়ে প্রশ্ন তোলেন অধীর চৌধুরী। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির সামনে কান্নায় ভেঙে পড়ে নিহতের পরিবার। পুলিশি তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে ক্ষোভ জানায় তারা।