রাজর্ষি দত্তগুপ্ত, ডানকুনি: ২ ঘণ্টা ধরে ডানকুনিতে অবরুদ্ধ জাতীয় সড়ক। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে (Durgapur Expressway Agitation) অবরুদ্ধ করে চলছে ট্রাক চালকদের আন্দোলন। কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন পরিবহণ নীতির প্রতিবাদে চলছে বিক্ষোভ। জাতীয় সড়কের উপর আগুন জ্বালিয়ে চলছে অবরোধ। সার দিয়ে দাঁড়িয়ে একের পর এক গাড়ি।


যা পরিস্থিতি...
কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন পরিবহণ নীতির বিরুদ্ধে রবিবার আচমকাই বিক্ষোভ শুরু করেন ট্রাকচালকরা। প্রতিবাদ শুরু হয় সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ। বর্ষশেষের দিন, দুুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি জাতীয় সড়কে এমন প্রতিবাদ-বিক্ষোভে অনেকের দুর্ভোগ বেড়েছে। যাঁরা দুর্গাপুরের দিকে যাচ্ছিলেন, তাঁরা সকলে আটকে পড়েছেন। হাজার-হাজার গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়েছে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। এসেছেন ট্র্যাফিক পুলিশের আধিকারিকরাও। যত দ্রুত সম্ভব, বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সেখান থেকে সরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু আড়াই ঘণ্টা কেটে গেলেও পরিস্থিতি খুব কিছু বদলায়নি। বরং কিছু ক্ষণ পর জাতীয় সড়কের উপর ওই অবরোধের তীব্রতা আরও বাড়ে। পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জের অভিযোগ উঠেছে। পাল্টা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়ার অভিযোগও রয়েছে। সব মিলিয়ে রবিবার সকালে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন বহু মানুষ। অ্যাম্বুল্যান্স এবং আপৎকালীন পরিষেবার সঙ্গে জড়িত যানবাহনে ছাড় দেওয়া হলেও বাকিদের ক্ষেত্রে ছবিটা বেশ অশান্তির। কখন জট খুলবে, তা বুঝতে না পেরে অনেকে বাস থেকে নেমে ভারী লটবহর সমেত দীর্ঘ পথ হেঁটেই পাড়ি দিতে শুরু করেছেন। 


অবরোধে বিপদ...
গত এপ্রিলে, আদিবাসী কুড়মি সমাজের প্রতিবাদের জেরে বহু ট্রেন বাতিল হয়। বদলাতে হয় বহু ট্রেনের রুট। শুধু ট্রেনের লাইন নয়, ওই আন্দোলনের জেরে পুরুলিয়া-বরাকর রাজ্য সড়কও অবরুদ্ধ হয়েছিল। কোটশিলা স্টেশন, পুরুলিয়া-রাঁচি রাজ্য সড়ক অবরোধেরও হুঁশিয়ারি দেন বিক্ষোভকারীরা। প্রতিবাদীদের বক্তব্য ছিল, কুড়মি সম্প্রদায়কে তফশিলি উপজাতিভুক্তদের আওতায় আনতে হবে। সারনা ধর্মের স্বীকৃতি দিতে হবে। কুড়মালি ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তফশিলের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এমনই একাধিক দাবিতে রাজ্য়ের পশ্চিমাঞ্চল জুড়ে চলে লাগাতার আন্দোলন। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে জঙ্গলমহলের ৩ জেলায় কোথাও রেল, কোথাও পথ অবরোধের জেরে তীব্র অশান্তিতে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। এমনই একাধিক দাবিতে দফায় দফায় শুরু হয় আন্দোলন। পুরুলিয়ার কুস্তাউরে রেল লাইনের ওপর বসে পড়ে অবরোধে সামিল হন বিক্ষোভকারীরা। দাবি না মানা হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন তাঁরা।


আরও পড়ুন:‘কালীঘাটের কাকুকে নিয়ে আলোচনা, ইন্টারকমে কথা জ্যোতিপ্রিয়র সঙ্গেও’, মমতার SSKM যাওয়া নিয়ে দাবি শুভেন্দুর