সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: ৯০ এর দশকের হিন্দি ছবিতে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে দিয়ে ডাকাত থেকে উদ্ধারের ঘটনা কিংবা ইভটিজারদের শায়েস্থা করার ঘটনা প্রায়শই দেখা যেত। ২০০০ সালের পর সেই হিন্দি ছবিতেই আবারও লঙ্কার গুড়োর ব্যবহার দেখা গিয়েছে। কিন্তু কমেডি সিনে। যদিও সেই দৃশ্যে পালানোর জন্যই ব্যবহার করা হয়েছে। কিংবা বর্তমানে মহিলারা নিজের সুরক্ষায় চিলি পেপার স্প্রে ব্যবহার করার একাধিক উদাহরণ রয়েছে। তবে এবার বোধহয় উল্টো কিছু ঘটল। একেবারে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে দিয়ে ৪০ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটল হুগলি জেলার পান্ডুয়ার জামগ্রাম এলাকায়। 


 স্থানীয় সূত্রে খবর এক ব্যাক্তি ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে বাইকে করে বাড়ি ফেরার পথে তার পথ আটকায় অন্য একটি বাইক। অভিযোগ , কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে লঙ্কার গুড়ো চোখে দিয়ে টাকা নিয়ে চম্পট দেয় দুই দুষ্কৃতী। স্থানীয়রা যুবককে উদ্ধার পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসে। যদিও লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে ছিটিয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। একুশ সালে এক ব্যবসায়ীর থেকে টাকা নিয়ে পালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। চোখে লঙ্কা গুঁড়ো ছিটিয়ে ব্যবসায়ীর থেকে লুঠ করা হয়েছিল ৮০ হাজার টাকা।  সেবার ঘটনাটি ঘটেছিল ডোমজুড়ের পাকুরিয়া ব্রিজের কাছে।


বীরেন্দর সাউ নামে ওই ভুষির ব্যবসায়ী জানান রাত পৌনে আটটা নাগাদ সে যখন দোকান বন্ধ করে বাইকে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন সেই সময় রাস্তায় ২ থেকে ৩ জন যুবক তাকে ঘিরে ধরেছিল। এরপর চোখে লঙ্কা গুঁড়ো ছিটিয়ে তাকে লাথি মেরে রাস্তায় ফেলে দিয়ে, তার হাতের ব্যাগে ৮০ হাজার টাকা ছিল তা লুট করে নেয়। এরপর ওই ব্যবসায়ীর মোবাইল এবং বাইক ছিনতাই করে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে চম্পট দিয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা ওই ব্যবসায়ীকে রাস্তা থেকে উদ্ধার করে বাকরার এক বেসরকারি নার্সিং হোমে নিয়ে গিয়েছিল।  


আরও পড়ুন, ওভারহেড তার ছিঁড়ে বিপত্তি, ট্রেন চলাচল ব্যাহত এই অংশে


পাশাপাশি হাওড়া আমতা রোডের বাঁকরা এলাকায় প্রকাশ্যে ১০ লক্ষ টাকা ছিনতাই করেছিল দুষ্কৃতীরা। একটি মদের দোকানের কর্মচারী টাকা ব্যাঙ্কে জমা দিতে যাবার সময় ছিনতাই হয়। বরুণ প্রামানিক নামে ওই কর্মচারীর চোখে লঙ্কা গুঁড়ো ছিটিয়ে ও মাথায় ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করে ১০ লক্ষ টাকা ছিনতাই করে বাইকে চেপে পালিয়ে গিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। ছিনতাইয়ের ঘটনা সিসিটিভি ক্যামেরা বন্দি হয়েছিল। সেই সিসিটিভি সূত্র ধরেই দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করেছিল পুলিশ।