সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: হলটা কী ভোলার?এমন তাণ্ডব (reckless) কেন?পান্ডুয়ার (pandua) খন্যান পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দারা আপাতত তার দাপটে চিন্তায়। কখনও জমির সব্জি বা ফসল নষ্ট করে দিচ্ছে, কখনও আবার গুঁতিয়ে দিতে তেড়ে আসছে ভোলা। ইতিমধ্যেই তার আক্রমণে চার জন জখম।পরিস্থিতি এমনই যে সন্ধ্যা হতে না হতে গ্রামের বাচ্চা ও মহিলারা বাড়ি থেকে বেরোতে ভয় পাচ্ছেন। এবার উপায়? অথচ কয়েক দিন আগে পর্যন্তও দিব্যি ছিল ষাঁড়টি (bull)।
ভুলছে না ষাঁড়...
চমকাচ্ছেন? তা হলে গল্পটা খোলসা করে বলা যাক। বছরখানেক আগে হঠাতই কোথাও থেকে ঘুরতে ঘুরতে পশ্চিমপাড়ায় চলে আসে ভোলা। তবে সেই সময় সুস্থ ছিল না ষাঁড়টি। ঠিকমতো হাঁটতে পারছিল না। স্থানীয়দের একাংশের মতে, পায়ে চোট ছিল ভোলার। গ্রামবাসীরাই চাঁদা তুলে তার চিকিৎসা করে চোট সারিয়ে তোলে। তখনই গ্রামের লোকেরা তার নাম রেখেছিল ভোলা। সবই ঠিক চলছিল। কিন্তু সুস্থ হয়ে স্বমূর্তি ধারণ করে সে। কী রকম?
ভোলার তাণ্ডব..
এককথায় গ্রামে রীতিমতো তাণ্ডব চালাচ্ছে ওই ষাঁড়। কখনও চাষের জমিতে নেমে সব্জি, ফসল নষ্ট করতে থাকে। তাড়িয়ে দিতে গেলে উল্টে গুঁতিয়ে দেওয়ার জন্য তেড়ে আসে। পরিস্থিতি বেশ চাপের। গ্রামের বাসিন্দা সেখ কাদের আলি বলেন, 'রবি মরসুমে ধান, আলু নষ্ট করেছে। আমন ধানের বীজ খেয়ে নিচ্ছে বেশ কয়েক জনের ক্ষতি করছে ভোলা। বন দফতর কিছু একটা ব্যবস্থা করুক।' খবরও গিয়েছে বন দফতরে। তবে যত ক্ষণ পর্যন্ত তারা কোনও পদক্ষেপ না করছে,তত ক্ষণ নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না গ্রামবাসীরা। আপাতত তাই লাঠি নিয়ে নিজেরাই পাহারার ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু এভাবে কত দিন? আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট চোখেমুখে।সঙ্গে কিছুটা বিষণ্ণতাও। সুস্থ হয়ে উঠতে না উঠতেই কী রূপ ধরল ভোলা?
আরও পড়ুন:এসএমএস পড়ে ফেলে, টাকা কেটে নেয় ! অবিলম্বে মোবাইল থেকে সরান এই অ্যাপগুলি