হুগলি: পুরভোটে অশান্তির আবহ আরামবাগেও। সেখানকার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থীর সঙ্গে প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে বচসা। নির্দল প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোট লুঠের অভিযোগ। দেখেও নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছেন প্রিসাইডিং অফিসার, অভিযোগ তৃণমূল প্রার্থীর। 


তৃণমূল প্রার্থী অভিযোগ জানিয়েছেন যে নির্দল প্রার্থী এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে ভোট লুঠ করার চেষ্টা করছে। কিন্তু এরপর পুলিশকে অভিযোগ জানানো হলেও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। এরপরই সেই তৃণমূল প্রার্থী প্রিসাইডিং অফিসারকে অভিযোগ জানান। কিন্তু প্রিসাইডিং অফিসারও কোনও পদক্ষেপ নেননি বলে অভিযোগ।


দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে সবার নজর উত্তর ২৪ পরগনায়। বারাসাত, ব্যারাকপুর, ভাটপাড়া খড়দা, কামারহাটি, বনগাঁ-সহ মোট ২৫টি পুরসভায় ভোট। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে,মোট ৬৪৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৬২৯ টিতে ভোটগ্রহণ রবিবার।  নির্ধারিত হবে ২ হাজার ৩০৪ প্রার্থীর ভাগ। মোট ৪ হাজার ৩১টি বুথে ভোটগ্রহণ, নিরাপত্তায় ব্যারাকপুর কমিশনারেট মোতায়েন ১২ হাজার পুলিশকর্মী। রয়েছে ১৫টি করে QRT ও HRFS। বারাসাত পুলিশ জেলায় রয়েছে ৩ হাজার পুলিশ কর্মী। আর বনগাঁ পুলিশ জেলায় ৬০০ পুলিশ ভোটের নিরাপত্তার দায়িত্বে।






তবে, পুরভোটের আগের রাতে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কামারহাটির ২৯ নম্বর ওয়ার্ড। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ। তার জেরে বাঁশ নিয়ে একে অন্যের ওপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। র‍্যাফ ও পুলিশ নামিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়

পুরভোটের দিনটাও শান্তিপূর্ণ গেল না। কামারহাটির ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর বাসুদেবপুরে দুষ্কৃতী তাণ্ডব, বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে। স্থানীয়রা তাড়া করায় বাইক ফেলে পালায় দুষ্কৃতীরা। বাইক, গাড়ি ভাঙচুর করে উত্তেজিত জনতা। একের পর এক মোটরবাইক, গাড়ি ভাঙচুর! বোমাবাজি। পুরভোটকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় রবিবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল, উত্তর চব্বিশ পরগনার কামারহাটি।  ভোটের মাঝবেলায় রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর বাসুদেবপুর।