মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: আশঙ্কাজনক (critical) অবস্থায় বৃদ্ধা ও তাঁর পরিচারিকাকে উদ্ধারের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য পশ্চিম বর্ধমান (west burdwan) জেলার দুর্গাপুরের (durgapur) অভিজাত সিটি সেন্টার (city centre) এলাকায়। শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁদের। পুলিশ জানিয়েছে, বৃদ্ধার (old lady) নাম অপর্ণা ভট্টাচার্য। বয়স ৭০ বছর। তাঁর পরিচারিকার নাম অপর্ণা দাস। 


কী হয়েছে?
দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা হাসপাতালের অবসরপ্রাপ্ত নার্স ছিলেন অপর্ণা ভট্টাচার্য। স্বামী বছরদশেক আগে মারা যান। একমাত্র মেয়ে বিয়ে করে মুম্বইয়ে। একা বৃদ্ধাকে দেখাশোনার জন্য থাকতেন অপর্ণা দাস নামে ওই পরিচারিকা। পড়শিরা জানাচ্ছেন, অন্যান্য দিনের মতো এদিন পাশের বাড়িতে কাজ করতে আসেননি অপর্ণা। তখনই সন্দেহ হয় পড়শিদের। খোঁজ নিতে এসে তাঁরা দেখেন, পরিচারিকা নিচে গলিতে পড়ে রয়েছেন। ঘরের দরজা খোলা। বৃদ্ধার খোঁজে বাড়ির ছাদে উঠে যান পড়শিরা। দেখেন, সেখানে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে কাতরাচ্ছেন তিনি। প্রশ্ন করা হলে বৃদ্ধার জানান, পরিচারিকা তাঁকে মাথার পিছনে ভারী কিছু দিয়ে মেরেছেন। চমকে ওঠেন পড়শিরা। ফের তাঁরা পরিচারিকার খোঁজ নিতে আসেন। দেখেন অপর্ণা দাস অচেতন হয়ে পড়ে রয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় সিটি সেন্টার ফাঁড়িতে। পুলিশ এসে দুজনকেই স্থানীয়দের তৎপরতায় দুর্গাপুরের বেসরকারি এক হাসপাতালে ভর্তি করে।


উদ্বিগ্ন স্থানীয়রা
ঘটনায় তদন্ত শুরু করলেও স্থানীয়রা এতে আশ্বস্ত হতে পারছেন না। তাঁরা অবিলম্বে এলাকায় সিসি ক্যামেরা বসানোর দাবি জানিয়েছেন। অন্য দিকে দিনেদুপুরে শহরের প্রাণকেন্দ্রে এমন আতঙ্কের চোরাস্রোত তৈরি করেছে গোটা এলাকায়। দুর্গাপুরের মেয়র অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, পুলিশকে বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে। কিন্তু দিনের আলোয় এমন ঘটনা ঘটলে বাকি সময়ের নিরাপত্তা কোথায়? ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দুর্গাপুর থানার পুলিশ। বৃদ্ধার দাবি সত্যি হলে পরিচারিকা কেন এই কাজ করলেন সেটাও জানা দরকার, মনে করছেন তাঁরা। 


আরও পড়ুন:আমার কোনও টাকা নেই, সময় এলেই বুঝবেন কে ষড়যন্ত্র করছে’, বিস্ফোরক দাবি পার্থর