প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: ফের আদালতে প্রশ্নের মুখে CBI ভূমিকা। টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়া ৪ জন শিক্ষকের গোপন জবানবন্দি নেওয়ার আবেদন করে প্রশ্নের মুখে পড়ল সিবিআই। যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি ছিনিয়ে যারা চাকরি পেয়েছে, তারা কীভাবে সাক্ষী হতে পারে, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে প্রশ্ন বিচারকের। ১৭ মার্চের মধ্যে এনিয়ে সিবিআইয়ের জবাব তলব করেছে আলিপুরের বিশেষ আদালত। 


চাকরি বাতিলের বিজ্ঞপ্তি: উল্লেখ্য, স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইটে গ্রুপ সিতে ৫৭ জনের চাকরি বাতিলের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হল আজই। ইতিমধ্যেই গ্রুপ সিতে ৮৪২ জনের মধ্যে ৫৭ জনের চাকরি বাতিল করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যেহেতু এই ৫৭জনকে কোনও সুপারিশ পত্র দেয়নি এসএসসি। তাই তাদের চাকরি হাইকোর্টই সরাসরি বাতিল করেছে। বাকিদের চাকরি বাতিলের বিজ্ঞপ্তি আজই দিতে চলেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন।


বাতিল তালিকায় দুই তৃণমূল নেতার নাম:  গ্রুপ ডি-র চাকরি বাতিল হওয়া ১৯১১ জনের তালিকায় কোচবিহার ও বাঁকুড়ার দুই তৃণমূল নেতা ও এক নেতার ভাইয়ের নাম! তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন মেধাতালিকার প্রথম দশে! এদিকে ওএমআর শিটে দেখা যাচ্ছে, মাত্র একটি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন ওই শাসকনেতা। আর এসব নিয়েই তৃণমূলকে নিশানা করছে বিরোধীরা। জবাব দিয়েছে শাসকদল। 


হাইকোর্টের নির্দেশে স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ সির অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেছে এসএসসি। সেই তালিকায় নাম রয়েছে হুগলি জেলা পরিষদের সদস্য টুম্পা বাকুলির। ২০১৮ সালের ১৭ এপ্রিল টুম্পা চাকরি পান শ্রীরামপুরের রাজ্যধরপুর নেতাজি বয়েজ স্কুলে। সেখানেই ৫ বছর গ্রুপ সি পদে কাজ করেছেন তিনি। তৃণমূল ও দুর্নীতি সমার্থক, কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। যদিও টুম্পা বাকুলির দাবি, তিনি চাকরি জন্য কোনও টাকা দেননি। 


এসএসসির (SSC) প্রকাশ করা গ্রুপ সির অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের তালিকায় নাম রয়েছে প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলরের। যখন গ্রুপ সি পদে চাকরি পেয়েছিলেন, তখন বারাসাত পুরসভার ২৯ নম্বর কাউন্সিলর ছিলেন দোলন বিশ্বাস। ২০১৭সালে বারাসাতের বিবেকানন্দ আদর্শ বিদ্যাপীঠে গ্রুপ সি চাকরি পান তিনি। প্রাক্তন তৃণমূল কউন্সিলরের চাকরি বাতিল নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। কারচুপি করেই চাকরি পেয়েছেন, দাবি বিজেপির। আইন আইন পথে চলবে প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের পুর প্রধানের।  যদিও প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলরের পরিবারের দাবি, পরীক্ষা দিয়েই চাকরি পেয়েছেন তিনি।