প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: মোটা টাকা ফেলতে পারলেই মাস্টার! ঘুষ দিয়ে চাকরি কেনার অভিযোগে, আজ বাঁকুড়ার বিভিন্ন স্কুলে কর্মরত ৭ জন শিক্ষককে তলব করেছে CBI। সকাল ১১টায় নিজাম প্য়ালেসে হাজির হতে বলা হয়েছে তাঁদের।
প্রশ্নমালা তৈরি সিবিআইয়ের: এতদিন নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (recruitment scam) যাঁদের বিরুদ্ধে অন্য়ায়ের অভিযোগ উঠেছিল, অর্থাৎ, যাঁরা অযোগ্য়দের চাকরি বিক্রি করেছেন, সেই সব অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এবার অন্য সঙ্গত করেছে যারা, অর্থাৎ, টাকা দিয়ে চাকরি কিনেছে, সেই সব অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের গ্রেফতার করা শুরু হল। ঘুষ দিয়ে চাকরি কেনার অভিযোগে, সোমবার, প্রথম আদালতের নির্দেশে ৪ অযোগ্য় শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর এবার, বাঁকুড়ার ৭ জন শিক্ষককে তলব করল CBI। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের তদন্তে, জেলা ধরে ধরে, চাকরিপ্রাপকদের তলব করছে CBI. ইতিমধ্য়েই দুই মেদিনীপুর ও মুর্শিদাবাদের শিক্ষকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়ে গেছে। আজ সকাল ১১টায় নিজাম প্য়ালেসে হাজির হতে বলা হয়েছে তাঁদের। সিবিআই সূত্রে খবর, তাঁরা কীভাবে চাকরি পেয়েছেন? দুর্নীতিচক্র কীভাবে কাজ করেছে? মূলত এই প্রশ্নগুলির উত্তর জানতে চাওয়া হবে ওই ৭ শিক্ষকের কাছে।
এদিকে, ঘুষ দিয়ে চাকরি কেনার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া মুর্শিদাবাদের ৪ শিক্ষকের বিরুদ্ধে চার্জশিটে চাঞ্চল্য়কর দাবি করেছে সিবিআই। চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত তাপস মণ্ডলকে (Tapas Mandal) লাখ লাখ টাকা দিয়েছিলেন তাঁরা। সেখানে দাবি করা হয়েছে, ধৃত অযোগ্য় শিক্ষক সায়গর হোসেন দিয়েছিলেন ৬ লক্ষ টাকা। জাহিরাদ্দিন শেখ ও সৌগত মণ্ডল দিয়েছিলেন সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা করে এবং সীমার হোসেন চাকরি কিনতে ৫ লক্ষ টাকা দেন তাপস মণ্ডলকে। তবে, চার্জশিটের ১ নম্বরে নাম থাকা আশিক আহমেদ এখনও গ্রেফতার হয়নি। চাকরি বিক্রির জন্য় তাপস মণ্ডলকে ১ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন তিনি। এখানেই শেষ নয়। CBI-এর চার্জশিটে রয়েছে আরও বিস্ফোরক তথ্য়। এতে দাবি করা হয়েছে, চাকরি-বিক্রির এজেন্ট ও চাকরিপ্রার্থী মিলিয়ে মোট ১৪১ জনের কাছ থেকে ৪ কোটি ১২ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা নিয়েছিলেন নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত তাপস মণ্ডল।