হাওড়া: ক্যানিংয়ের (Canning) পর এবার হাওড়ায় (Howrah) শ্যুটআউট (Shootout)। নাজিরগঞ্জে খুন হলেন তৃণমূল নেতা (TMC Leader) ওয়াজুল খান। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত পৌনে এগারোটা নাগাদ বাড়ির কাছে বসেছিলেন বছর বাহান্নর ওই তৃণমূল নেতা (TMC Leader)। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ (Point Blank Range) থেকে তাঁকে গুলি করে পালায় দুষ্কৃতীরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তৃণমূল নেতাকে ভর্তি করা হয় নারায়ণা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে (Narayana Super Speciality Hospital)। সেখানেই হাওড়া জেলা সদরের তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সম্পাদককে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। দলীয় নেতা খুনের নেপথ্য বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাত আছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। অভিযোগ উড়িয়ে বিজেপির দাবি, এই ঘটনার দলের কোনও যোগ নেই।


উল্লেখ্য জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) রাজগঞ্জেও (Rakganj) একই ঘটনা ঘটেছে। তৃণমূলের এসসি-এসটি-ওবিসি সেলের বুথ সভাপতিকে গুলি (Shootout)। গুলিতে জখম তৃণমূল নেতার নাম মহম্মদ সুলেমান। স্থানীয় সূত্রে খবর, গত রবিবার সন্ধে সাড়ে ৭টা নাগাদ রাজগঞ্জ ব্লকের গণ্ডারমোড় এলাকায় লটারির দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন মহম্মদ সুলেমান। অভিযোগ, সেই সময় দুই বাইক আরোহী টুপি, মাস্ক পরে দোকানে এসে তৃণমূল নেতার (TMC Leader) মাথার পিছনে গুলি করে। 


গুলিতে জখম হন লটারি বিক্রেতা তপন মাহাতোও। তিনি নার্সিংহোমে চিকিত্সাধীন। গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতাকে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে দাবি করেছেন রাজগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতার চায়ের ব্যবসা ছিল। ফলে রাজনৈতিক কারণ নাকি, ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরে হামলা, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 


তার আগে ক্যানিংয়ের (Canning) সাতমুখীতে বাড়ির সামনেই গুলিবিদ্ধ হন যুব তৃণমূলের (tmc) অঞ্চল সভাপতি। মাস ছয়েকের মধ্যে ফের যুব তৃণমূল নেতা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় ছড়িয়েছে উত্তেজনা। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে সরব হয়েছে তৃণমূল।


আরও পড়ুন: Dilip On Saayoni : ' চুনোপুঁটি নেতাদের ঢিল মারলে কষ্ট পাচ্ছেন কেন?' , সায়নীর উপর হামলা নিয়ে ঝাঁঝালো দিলীপ