সুনীত হালদার, আমতা: হাওড়ার আমতায় অজানা জ্বরের প্রকোপ। আমতা গ্রামীণ হাসপাতাল ভর্তি ২৫টি শিশু। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মন্ডল অবশ্য জানিয়েছেন, ভয়ের কোনও কারণ নেই। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া শিশুদের চিকিৎসা চলছে।


গত দু-তিন দিনে হাওড়ার আমতায় অজানা জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। অজানা জ্বরে কমপক্ষে ২৫ জন শিশু আক্রান্ত হয়েছে। তারা ভর্তি আছে আমতা গ্রামীণ হাসপাতালে। বেশিরভাগ শিশুরই জ্বরের পাশাপাশি পেট খারাপ ও খিঁচুনি দেখা দিয়েছে। এই নিয়ে অসুস্থ শিশুদের অভিভাবকরা  আতঙ্কিত।  তাঁরা জানিয়েছেন, শিশুদের জ্বরের পাশাপাশি পেটের গণ্ডগোল হচ্ছে। শিশুরা ঝিমিয়ে থাকছে।


আমতা গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসকরা অসুস্থ বাচ্চাদের চিকিৎসা করছেন। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মন্ডল জানিয়েছেন, প্রতি বছর এই সময় আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে বাচ্চাদের জ্বর, সর্দি এবং পেট খারাপের প্রকোপ দেখা যায়। এখন বাচ্চাদের ভাইরাল ফিভারের পাশাপাশি পেট খারাপ হচ্ছে। জ্বর নিয়ে রাজ্য সরকারের গাইডলাইন মেনে তাঁরা কাজ করছেন। আমতা হাসপাতলে ভর্তি থাকা শিশুদের চিকিৎসা চলছে। চিন্তার কোনও কারণ নেই। তিনি অভিভাবকদের অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।


এদিকে, রাজ্যে করোনা সংক্রমণের বৃদ্ধির হার কমে হয়েছে এক শতাংশ। স্বাস্থ্য দফতরের চতুর্থ সেন্টিনাল সার্ভেতে উঠে এসেছে এই তথ্য। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ির পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও উদ্বেগ বাড়িয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর। তালিকায় যুক্ত হয়েছে বসিরহাট ও ঝাড়গ্রাম স্বাস্থ্য জেলা। 


স্বাস্থ্য দফতরের সোমবারের পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭২ জন। তবে রাজ্য সরকারের সেন্টিনাল সার্ভে বলছে, বাংলায় সংক্রমণ বৃদ্ধির হার সামান্য কমেছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের ২৮টি হাসপাতাল থেকে মাসে ৪০০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে RT-PCR টেস্ট করা হয়। এরই পোশাকি নাম সেন্টিনাল সার্ভে। 


স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, তৃতীয় সমীক্ষায় রাজ্যে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার ছিল ১.২ শতাংশ। চতুর্থ সমীক্ষায় সেটা কমে হয়েছে ১ শতাংশ। তৃতীয় সমীক্ষায় দার্জিলিং ও জলপাইগুড়িতে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার ৩ শতাংশের বেশি ছিল। সেখানেও এখন পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে।