সুনীত হালদার, হাওড়া: সাতসকালে ভয়ানক পথ দুর্ঘটনা। গুরুত আহত এক মহিলা। অটোয় চড়ে যাচ্ছিলেন রান্নার কাজে। রাস্তায় লরির ধাক্কায় কাটা পড়ল ডান হাত। আজ সকালে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে উলুবেড়িয়ার (Uluberia) নোনা এলাকায় ওড়িশা ট্রাঙ্ক রোডে। শ্যামপুরের (Shyampur) বাসিন্দা রেবা মণ্ডল উলুবেড়িয়ার একটি নার্সিংহোমে রান্নার কাজ করেন। অসাবধানতাবশত তাঁর ডান হাত অটোর বাইরে ছিল। দ্রুত গতিতে যাওয়ার সময়, লরির (Truck) ধাক্কায় হাত কেটে রাস্তায় পড়ে। গুরুতর জখম ওই মহিলাকে এসএসকেএম হাসপাতালে (SSKM Hospital) নিয়ে যাওয়া হয়। লরি চালকের খোঁজ চালাচ্ছে উলুবেড়িয়া থানার পুলিশ।
এদিন সকালে রাস্তায় কাটা হাত পড়ে থাকতে দেখে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে পথচলতি মানুষের মধ্যে। পুলিশ সূত্রের খবর শ্যামপুরের বাসিন্দার রেবা মন্ডল উলুবেড়িয়ার বাজারপাড়ায় একটি নার্সিংহোমে রান্নার কাজ করতেন। সাধারণ মানুষের চোখে পড়তেই সেই মহিলাকে প্রথমে শরৎচন্দ্র মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর কলকাতা এস এস কে এম হাসপাতালে স্থান্তরিত করা হয়। দুর্ঘটনার পর লরি নিয়ে চম্পট দিয়েছে চালক।
এদিকে রাজ্যের অন্য প্রান্তে বর্ষার শুরুতেই বড়সড় বিপত্তি। অতিভারী বৃষ্টির জেরে ফুলে-ফেঁপে ওঠা পাহাড়ি নদীর জলে কার্যত ভেসে যাচ্ছে রাস্তা। একাধিক জায়গায় নেমেছে ধস। সবমিলিয়ে উত্তর সিকিম (North Sikkim) বিচ্ছিন্ন। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, উত্তর সিকিমের বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়েছেন প্রায় ২ হাজার পর্যটক। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে রাস্তা উদ্ধারের কাজেও ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে বৃষ্টির জের।
নির্ধারিত সময়ের কিছুটা পর গত সোমবারে উত্তরবঙ্গে বর্ষা ঢোকার সঙ্গেও সিকিমেও পৌঁছে যায় মৌসুমী বায়ু। কার্যত সেদিন থেকেই বৃষ্টিতে ভিজছে উত্তরবঙ্গ ও সিকিম। কিন্তু চলতি সপ্তাহের মাঝ থেকেই বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয় অতি ভারী বৃষ্টি। আবহাওয়ার দফতর সূত্রে খবর, আগামী ১৯ তারিখ পর্যন্ত ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিরই আশঙ্কা রয়েছে। আর যে প্রবল বৃষ্টির জেরেই পাহাড়ি নদী ফুলে ফেঁপে উঠতেই বিপত্তি।