সুনীত হালদার, কলকাতা : সোমবার সাত সকালেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হল বাসযাত্রীদের। সকাল ৮ টার সময় হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় ঘটে গেল সাঙ্ঘাতিক ঘটনা। উলুবেড়িয়ার কুলগাছিয়া শ্রীরামপুরে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে বাসের সংঘর্ষ ডেকে আনল ভয়ঙ্কর পরিণতি।
সকাল ৮ টা নাগাদ, একটি বাসের পিছন থেকে ধাক্কা মারে আরও একটি বাস। প্রবল ধাক্কায় সামনের বাসটিতে আহত হন প্রায় ২০ জন বাস যাত্রী। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে , এদিন সকালে নন্দীগ্রাম - বারাসাত রুটের একটি বেসরকারি বাস আচমকা, শ্রীরামপুরে দাঁড়িয়ে পড়ে যাত্রী তোলার জন্য। তার পিছনে ছিল দীঘা থেকে হাওড়াগামী একটি বাস। সামনের বাসটি হঠাৎ দাঁড়িয়ে পড়ায় ঘটে বিপত্তি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দীঘা - হাওড়া রুটের বাসটি সামনের বাসটিকে ধাক্কা মারে।
দুইটি বাসের সব মিলিয়ে প্রায় ১০০ জন যাত্রী ছিল। ধাক্কা মারা গাড়িটির চালক পলাতক। দুটি বাসকেই আটক করেছে পুলিশ। আহতদের উলুবেরিয়া শরৎচন্দ্র মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
হাওড়ায় আরও বড় দুর্ঘটনা
অন্যদিকে তার আগের রাতে হাওড়াতেই ঘটে গিয়েছে আরও একটি দুর্ঘটনা। হাওড়ার কদমতলায় সরকারি আবাসনের সামনে এক তৃণমূল কর্মীর বাইকের ধাক্কায় মৃত্যু হয় এক মহিলা পথচারীর। অভিযুক্ত বাইক আরোহীর নাম অরুণাভ দত্ত। তাঁকে আটক করেছে ব্যাঁটরা থানার পুলিশ। অরুণাভর সঙ্গী হাওড়া পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের যুব তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ মণ্ডল পলাতক। স্থানীয়দের অভিযোগ, দু’জন বাইকআরোহীই মত্ত অবস্থায় ছিলেন। পুলিশই যুব তৃণমূল নেতাকে পালানোর সুযোগ করে দিয়েছে।
মৃতের নাম অর্চনা দত্ত। বছর ৫৭-র প্রৌঢ়া কদমতলার সরকারি আবাসনে থাকতেন। রবিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ মুদিখানা থেকে ফেরার সময় তাঁকে ধাক্কা মারে বাইকটি। প্রৌঢ়ার মাথায় চোট লাগে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। বাইক নিয়ে পালাতে গিয়ে নর্দমায় পড়ে যান দুই বাইক আরোহী। স্থানীয়রাই তাঁদের ধরে ফেলেন। তবে পরে পালিয়ে যান যুব তৃণমূল সভাপতি।
আরও পড়ুন : ফের গঙ্গার নীচে তৈরি হতে চলেছে আরও একটি টানেল! কোন পথে সহজ হবে যাতায়াত?