সুনীত হালদার, হাওড়া: আমতা (Howrah Amta) জয়পুরে আগুনে পুড়ে একই পরিবারের মৃত ৪। রবিবার গভীর রাতে  ঘুমন্ত অবস্থায় আগুনে পুড়ে মৃত্যু হল নবম শ্রেণীর ছাত্রী সহ একই পরিবারের চারজনের। ঘটনাটি হাওড়া জয়পুরের ঝামটিয়া অঞ্চলের সাউড়িয়া গ্রামের। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় রবিবার গভীর রাতে হঠাৎই ঘরের মধ্যে আগুন দেখতে পায়। চারজনই ঘরের মধ্যে আটকে পড়ে। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে খবর দিলে , পুলিশ দমকল পাঠায়। ঘন্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। ঘর থেকে উদ্ধার হয় এক পরিবারের চারজনের দেহ। কীভাবে আগুন লাগল তদন্ত করছে পুলিশ। চলতি মাসে এই নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অগ্নিকাণ্ডের অনেক গুলো ঘটনাই ঘটল।

Continues below advertisement

ছুটির রবিবারে কলকাতায় এক বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা

Continues below advertisement

রবিবার ২১ ডিসেম্বর কলকাতায় একটি বাড়িতে আচমকাই আগুন লেগে যায়। ছুটির দিন রবিবারে আগুন লেগেছিল সেই বাড়িতে। শীতের দুপুরে আনন্দ পালিত রোডে আগুন লেগেছে বলে খবর। বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ এন্টালি থানার অন্তর্গত আনন্দ পালিত রোডের ওই বাড়িতে ভয়াবহ আগুন লাগে। স্থানীয়রাই খবর দেন দমকলে। ঘটনাস্থলে আসে দমকলের ৫টি ইঞ্জিন। দমকলকর্মীদের পাশাপাশি এন্টালি থানার পুলিশও আসে ঘটনাস্থলেএন্টালির ওই বাড়ির চারতলায় আগুন লেগেছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। রবিবার বেলা ৩টে ৩০ মিনিট নাগাদ এই আগুন লাগে। বেশ কিছু গ্যাস সিলিন্ডার বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। সেগুলি বিস্ফোরণ হলে আরও ভয়াবহ হতে পারত অগ্নিকাণ্ড। সংকীর্ণ রাস্তা ওই এলাকায়। গোটা পরিস্থিতি আতঙ্কিত স্থানীয়রাবাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছেন অনেকেই।

কিন্তু কেন আগুন লেগেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালাচ্ছেন দমকলকর্মীরা। কিন্তু তাঁদের থেকে আগুন লাগার সঠিক কারণ কিছু জানা যায়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েকজন সংবাদমাধ্যমে ছবি তুলতে বাধা দিয়েছেন। কেন তাঁরা বাধা দিয়েছেন, তা স্পষ্ট নয়। তবে এই বাধার কারণে দমকলকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা যায়নি। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য এন্টালির আনন্দ পালিত রোডের ওই এলাকায় তৎপর রয়েছে দমকলবাহিনী এবং পুলিশ। আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে না আসায় স্বভাবতই আতঙ্ক রয়েছে এলাকায়

উল্লেখ্য, নিউটাউনের ঘনি ঝুপড়িতে এবং কাঁকুড়গাছিতে কিছুদিন আগেই আগুন লেগেছিল ভয়াবহ। সেখানে বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে নিউটাউনের ঘুনি বস্তির বেশিরভাগ অংশ।