বিশাখাপত্তনম: ব্যক্তিগত জীবনে বিশাল ঝড় বয়ে গিয়েছিল কিছুদিন আগেই। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন স্মৃতি মন্ধানা। আপাতত পুরোপুরি ক্রিকেটেই ফোকাস করতে চাইছেন নিজেকে। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে পাঁচ ম্য়াচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্য়াচে ব্যাট করতে নেমে ২৫ রান করেছিলেন স্মৃতি। আর তার সঙ্গে সঙ্গেই বাঁহাতি ওপেনার কুড়ির ফর্ম্যাটে ঝুলিতে পুরে নিয়েছেন ৪ হাজার রান। বিশ্বের দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে এই ফর্ম্য়াটে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৪ হাজার রান পূরণ করার নজির গড়েছেন স্মৃতি। ভারতীয়দের মধ্য়ে তিনিই প্রথম।

Continues below advertisement

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে মহিলাদের ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন নিউজিল্যান্ডের সুজি বেটস। তিনি এখনও পর্যন্ত মোট ৪৭১৬ রান করেছেন। তার পরেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন স্মৃতি মন্ধানা। তবে একটি বিষয়ে কিন্তু স্মৃতি টেক্কা দিয়েছেন বেটসকে। সবচেয়ে কম বল খেলে চার হাজার রানের মাইলস্টোন ছুঁয়েছেন তিনি। স্মৃতি নিয়েছেন ৩২২৭ বল। সেথানে বেটস খেলেছিলেন ৩৬৬৭৫ বল।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই মুহূর্তে আর ৪২ রান করলেই ১০ হাজার রানের মালিক হয়ে যাবেন স্মৃতি। চলতি সিরিজে আরও চারটি ম্যাচ রয়েছে। সেই ম্য়াচগুলোতেই এই নজির গড়ে ফেলতে পারেন বাঁহাতি ভারতীয় ওপেনার। 

Continues below advertisement

এদিকে, দুরন্ত অর্ধশতরানে দলকে জেতালেন জেমাইমা রডরিগেজ়১২২ রান তাড়া করতে নেমে ৩২ বল বাকি থাকতেই আট উইকেট ম্যাচ জিতে নিল ভারত। এদিন টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন হরমনপ্রীতভারতীয় বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে মাত্র ৩১ রানই তুলতে পারে শ্রীলঙ্কা। টপ অর্ডারের একাধিক ব্যাটার শুরুটা করেও বড় রান করতে ব্যর্থ হন। ওপেনার ভিষমি গুণারত্নেই সর্বাধিক ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন। তাও তাঁর ৩৯ রান আসে ১০০-র রম স্ট্রাইক রেটে। ভারতের হয়ে ক্রান্তি বাদে দীপ্তি শর্মা ও শ্রী চরণী একটি করে উইকেট নেন। তিন তিনজন লঙ্কান ব্যাটার এদিন রান আউট হন। ২০ ওভারে ছয় উইকেটে ১২১ রানেই থামে শ্রীলঙ্কার ইনিংস

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শেফালি বর্মাকে দ্বিতীয় ওভারেই নয় রানে সাজঘরে ফেরত পাঠিয়ে শ্রীলঙ্কার ম্যাচে কামব্যাক করার আশা জাগে। তবে সেই পরিস্থিতি থেকে স্মৃতি ও এদিন তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা জেমাইমা ভারতীয় ইনিংসের হাল ধরেন। পাওয়ার প্লে শেষের আগেই ভারত ৫০ রানের গণ্ডি পার করে ফেলে। দুরন্ত ছন্দে ছিলেন জেমাইমা, সেখানে অপরদিকে অধিনায়ক হরমনপ্রীত তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দেন। মাত্র ৩৪ বলে অর্ধশতরান পূরণ করেন তিনি। শেষমেশ ৪৪ বলে ৬৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন জেমিহরমনপ্রীত ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন।