সুনীত হালদার, হাওড়া: স্যালাইন বিতর্কের মধ্যেই ফের ভুয়ো ওষুধ বিতর্ক রাজ্যে। এবার হাওড়ার আমতায়। রাজ্যে ফের জাল ওষুধ চক্রের হদিশ মিলল। এই ঘটনায় আমতার একটি ওষুধ সরবরাহকারী সংস্থার মালিককে গ্রেফতারও করা হয়েছে। এই ওষুধগুলিই এখান থেকে রাজ্যের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে কি না সেদিকটিও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। 

আমতার মান্না এজেন্সি নামে একটি ওষুধ সরবরাহকারী সংস্থার গোডাউনে হানা দিতেই চক্ষু চড়কগাছ। গোডাউনে হানা দিয়েছিল ড্রাগ কন্ট্রোল দফতরের আধিকারিকরা। সেখান থেকে প্রায় ১৭ লক্ষ টাকার জাল ওষুধ বাজেয়াপ্ত করা হয়।  সূত্রের খবর, নামী কোম্পানির ওষুধের কিউআর কোড জাল করে ওষুধের উপর লাগিয়ে চলছিল প্রতারণা। ধৃতকে উলুবেড়িয়া আদালতে তোলা হয়েছে, গোডাউন সিল করে দেওয়া হয়েছ। 

গত মাসেই ‘পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যাল’-এর সরবরাহ করা ‘রিঙ্গার ল্যাকটেট’ স্যালাইন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল নতুন করে। ২০২৩ সালে কর্নাটকের বেলারি এবং চিত্রদুর্গ জেলায় প্রায় সাড়ে ১১ হাজার বোতল স্যালাইন সরবরাহ করেছিল এই সংস্থা। যার জেরে বেলারি জেলা হাসপাতালে ৫ প্রসূতির মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। গোটা রাজ্যে এই সংস্থার স্যালাইন নিয়ে ২৭টি অভিযোগ জমা পড়ে। পরীক্ষায় ‘পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যাল’-এর তৈরি করা ‘রিঙ্গার ল্যাকটেট’ স্যালাইনের ১৬টি নমুনাই ফেল করে। এর পরও কী করে সরকারি একাধিক হাসপাতালে ব্যবহার করা হচ্ছিল নিয়েই বিতর্ক শুরু হয়। প্রসূতি মৃত্যুও সেই বিতর্কে ঘৃতাহূতি দিয়েছিল।  

আরও পড়ুন, ট্যাংরা হত্যাকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য! বাড়ির সব সিসি ক্যামেরারই প্লাগ খোলা! নেপথ্যে কী কারণ?

এর আগে খাস কলকাতায় জাল জীবনদায়ী ওষুধের চক্রের পর্দাফাঁস হয়েছিল। উদ্ধার হয়েছিল প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকার জাল ওষুধ। এই জাল ওষুধ শরীরে গেলে, তা যে কী বিপজ্জনক হতে পারে বলার অপেক্ষা রাখে না। সেই সময় সেন্ট্রাল ড্রাগ কন্ট্রোলের তরফে সতর্ক করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল প্রায় ৪৪ রকমের নিম্নমানের ওষুধ গোটা দেশের বাজারে ছেয়ে গেছে। স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, এই ওষুধগুলির উপাদানের মধ্যে ভেজাল মেশানো রয়েছে।

রোগভোগ থেকে মুক্তি পেতে খেতে ওষুধ খাওয়া। সেই ওষুধেই যদি মেশানো থাকে, ভেজালের বিষ, মানুষ যাবে কোথায়? 

আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে