অর্ণব মুখোপাধ্যায়, আমতা :  হাওড়ার (Howrah) আমতার (Amta ) ছাত্রনেতা আনিস খানের (Anish Khan) দ্বিতীয়বারের ময়নাতদন্ত ঘিরে কাটল জটিলতা। তোলা হল দেহ।


সকালে ময়নাতদন্ত (Post Mortem) ঘিরে প্রশ্ন তুলেছিলেন আনিসের আইনজীবী। ডিস্ট্রিক্ট জাজকে আসতে হবে বলে দাবি করে আনিসের পরিবার। বেলা ১২টা নাগাদ এসে পৌঁছন ডিস্ট্রিক্ট জাজ। তারপর দেহ তোলার কাজ শুরু হয়। গোটা প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফি করে রাখা হচ্ছে।


এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, সিটের সদস্যরা সকাল থেকেই ছিলেন ঘটনাস্থলে। আজ সকালে কবর থেকে দেহ তোলার কথা ছিল। সেই মতো সকাল ১০টা নাগাদ শুরু হয়েছিল দেহ তোলার প্রস্তুতি। দেহ তোলার পর এসএসকেএম-এ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে হবে ময়নাতদন্ত, খবর সূত্রের। হাসপাতালে থাকবেন ডিস্ট্রিক্ট জাজও।  


শনিবার ভোরে পুলিশ দেহ তুলতে এলেও স্থানীয় বাসিন্দাদের বাধায় ফিরতে হয় তাদের।  শেষপর্যন্ত পরিবার দ্বিতীয়বারের ময়নাতদন্তে সম্মতি দিয়েছে। তবে আনিসের বাবা জানিয়েছেন, তাঁর আইনজীবীরা আসার পর দেহ তোলার অনুমতি দেওয়া হবে।


গত বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, জেলা জজের উপস্থিতিতে নিহত ছাত্রনেতার দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করতে হবে। শুক্রবার সন্ধেয়, সেই মর্মে আনিসের পরিবারকে নোটিস দেয় SIT। অসুস্থতার কারণে সোমবার ছেলের মৃতদেহ তোলার আর্জি জানান আনিসের বাবা। শনিবার ভোরে আমতার সারদা দক্ষিণ খাঁ পাড়ায় ঢুকতে শুরু করে পুলিশ। ভোর পৌনে ৫টা নাগাদ গ্রামে ঢোকে বিশাল পুলিশবাহিনী ও র‍্যাফ। আধ ঘণ্টা পরে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে নিয়ে এলাকায় পৌঁছন এগজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট। এরপরই গ্রামবাসীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন!


কার্যত পুলিশকে ধাওয়া করে গ্রামছাড়া করেন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত ফিরে আসতে হয় বাহিনীকে। তার আগের দিন রাতে আনিসের বাবাকে নোটিস দিয়ে পুলিশ জানায়, শনিবার ভোরে দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্তের জন্য দেহ তোলা হবে। কিন্তু আনিসের বাবা সালেম খান সিটকে জানান, তিনি অসুস্থ সোমবার সকালে যেন ময়নাতদন্ত করা হয়। পাশাপাশি, আনিসের বাবা জানিয়েছেন, টিআই প্যারেডে কাউকে শনাক্ত করতে পারেননি।