সুনীত হালদার, হাওড়া: প্রবল জলোচ্ছ্বাসে অঘটন হাওড়ার বাউরিয়া ঘাটে। প্রবল জলোচ্ছ্বাসের কারণে ভেঙে গেল জেটি। আজ সকালে ঘটনাটি ঘটে হাওড়ার বাউরিয়া ঘাটে। এর ফলে বাউরিয়া বজবজ রুটের ফেরি সার্ভিস বন্ধ আছে। ফলে বিপাকে পড়েন কমপক্ষে ৭ হাজার নিত্যযাত্রী।


প্রবল জলোচ্ছ্বাসে অঘটন হাওড়ার বাউরিয়া ঘাটে


জানা গিয়েছে, সকাল ১১ টা নাগাদ গঙ্গা নদীতে হঠাৎ বাণ আসার কারণে বাউরিয়া ঘাটের গ্যাংওয়ে পল্টুন থেকে সরে যায়। ফলে ওই ঘাট ফেরি চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে পড়ে। যাত্রী নিরাপত্তার জন্য ফেরি সার্ভিস বন্ধ রাখে হুগলি নদী জলপথ পরিবহন সমিতি। বজবজ বা শিয়ালদা যেতে যাত্রীরা ঘুর পথে বেশি পয়সা খরচ করে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।


কী কারণে ফেরি সার্ভিস বন্ধ ?


প্রায় একই ধরণের ঘটনা ঘটে গত রবিবার এবং সোমবার হাওড়া শিবপুর ঘাটে। জলের তোড়ে গ্যাংওয়ে ভেঙে পল্টন থেকে সামনের দিকে বেরিয়ে যায়। এর ফলে শিবপুর ঘাট থেকে বাবুঘাট বা চাঁদপাল ঘাট রুটের ফেরি সার্ভিস বন্ধ করে দেওয়া হয়। বর্তমানে পল্টুনকে লোহার চেন দিয়ে গ্যাঙয়ের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছে।


ওই ঘাট দিয়ে প্রতিদিন কমপক্ষে ৫ থেকে ৬ হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন


ঘাটের গেটে তালা ঝুলছে দেখে সকালবেলায় অফিসযাত্রীরা বিপাকে পড়েন। ওই ঘাট দিয়ে প্রতিদিন কমপক্ষে ৫ থেকে ৬ হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন। তাঁদের অভিযোগ এর আগেও একাধিকবার বাণের সময় একই ধরণের সমস্যা তৈরি হয়েছিল। বারবার গ্যাংওয়ে ভেঙে গেলেও কেন কর্তৃপক্ষ পাকাপাকি ব্যবস্থা নিচ্ছে না তা নিয়ে তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।


যাত্রী নিরাপত্তার কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমিতির


দুটি ঘাটের দেখভালের দায়িত্ব আছে হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমিতি। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যাত্রী নিরাপত্তার কথা ভেবে দুটি ঘাটেই ফেরি সার্ভিস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। কী কারণে জলের ধাক্কায় গ্যাঙওয়ে বারবার ভেঙে যাচ্ছে তা খতিয়ে দেখছেন ইঞ্জিনিয়াররা। এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারের ভূতল পরিবহন সংস্থার সাহায্য চাওয়া হয়েছে।


আরও পড়ুন, 'আবেদন করার আগে..', CAA নিয়ে কী বার্তা মমতার ?


প্রসঙ্গত, ফেরি পরিষেবা নিয়ে ভোগান্তি এই নতুন নয়। কখনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ, কখনও আবার নদীর চর নিয়েও সমস্যার উদাহরণ অতীতে রয়েছে। জানুযারি মাসে  এনিয়ে সমস্যায় পড়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনাবাসী।