কলকাতা: মূলত দু'হাজার উনিশ সালে, দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসে CAA পাস করায় নরেন্দ্র মোদি সরকার। দু'হাজার চোদ্দ সালের একত্রিশে ডিসেম্বরের পর পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে বিতাড়িত হিন্দু , শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টান শরণার্থীদের জন্যই CAA।   গতকাল দেশজুড়ে সিএএ কার্যকর হতেই সরব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। স্পষ্ট বলেছেন, 'আবেদন করার আগে বারবার ভাববেন।'


'আবেদন করার আগে বারবার ভাববেন'


সিএএ নিয়ে ফের চড়া সুরে আক্রমণে মুখ্যমন্ত্রী। 'ডেকে ডেকে বলছে, বিজেপি করো, তাহলেই সাদা।সিএএ অধিকার কেড়ে নেওয়ার আইন', সিএএ-কে অসাংবিধানিক বলে আক্রমণে মমতা। ভোটের আগে ভয় দেখাতে চাইছে কেন্দ্র। আবেদন করলেই নাগরিক হয়ে যাবেন অনুপ্রবেশকারী। এনআরসির সঙ্গে যুক্ত সিএএ, পাঠিয়ে দেবে ডিটেনশন ক্যাম্পে', শিলিগুড়ির সভা থেকে সিএএ নিয়ে হুঙ্কার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।


CAA


১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনে সংশোধন করে,২০১৯ সালে, দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসে CAA পাস করিয়েছিল কেন্দ্রের মোদী সরকার। এই আইন অনুযায়ী,পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানের  মতো মুসলিম ধর্মাবলম্বী দেশ থেকে যদি, সে দেশের সংখ্যালঘুরা ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে এ দেশে আশ্রয় চান, তা হলে তা দেবে ভারত। লোকসভা এবং রাজ্যসভায় পাস হওয়ার পর,২০১৯-এর ১২ ডিসেম্বর, তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের স্বাক্ষরের পর আইনে পরিণত হয় CAA। মোদি সরকারের আনা এই সংশোধনী আইন অনুযায়ী,হিন্দু, শিখ, পার্সি, বৌদ্ধ, জৈন ও খ্রিষ্টানরা ২০১৪ সালের ৩১শে ডিসেম্বরের আগে আশ্রয় চেয়েছিলেন এবং ভারতে ৫ বছর বাস করলেই তাঁরা এ দেশে নাগরিকত্বের জন্য আবেদনের যোগ্য হবেন। 


আরও পড়ুন, মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যে বলছেন, কারও নাগরিকত্ব যাবে না : সুকান্ত


অপরদিকে, মমতা আরও বলেন, 'আমার বলার কথা ছিল তাই বললাম, এবার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। একটা বাচ্চা ছেলে, বিয়ে করেছে, কিছু তো করে খেতে হবে। ব্যবসা শুরু করেছিল, সব সম্পত্তি অ্যাটাচ করে নিয়েছে। বাইরের পুলিশ আসবে, চলে যাবে, কিন্তু এখানের পুলিশ থাকবে', অভিষেক নিয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে আক্রমণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়


 


(খবরটি সম্প্রতি ব্রেক করা হয়েছে। বিস্তারিত কিছুক্ষণ পরই দেওয়া হচ্ছে। একটু পরে রিফ্রেশ করুন। জেলা থেকে শহর, দেশ, বিদেশ, বিনোদন থেকে খেলা, বিজ্ঞান থেকে প্রযুক্তি সহ অন্যান্য সমস্ত খবরের আপডেটের জন্য দেখতে থাকুন এবিপি আনন্দ ও এবিপি লাইভ)