সুনীত হালদার, হাওড়া : জলের তোড়ে ফের ভেসে গেল তিন-তিনটি সংযোগকারী সেতু। প্রত্যেক বছরের মতোই আরও একবার স্তব্ধ জনজীবন। হাওড়ার ভাটোরা দ্বীপ। মূল হাওড়ার ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযোগে ভরসা বলতে তিনটে বাঁশের সেতু (Bamboo Bridge)। আপাতত সেই তিনটিই নদীগর্ভে। জলবন্দি প্রায় ৬০ হাজার মানুষ। মূল ভূখণ্ডে যেতে ভরসা শুধু নৌকা-সফর। তাও জোয়ারের সময় বেড়ে যাওয়া নদীর জলস্তরে বন্ধ থাকে ফেরি পরিষেবা। অপেক্ষা থাকে ভাটার। সবমিলিয়ে প্রবল সমস্যায় বাসিন্দারা।


ভাটোরা ও ঘোড়াবেড়িয়া-চিৎনান পঞ্চায়েত, দুই পঞ্চায়েত এলাকা নিয়ে হাওড়ার (Howrah) ভাটোরা দ্বীপ। কুলিয়াঘাট,গায়েনপাড়া ও আজানগাছি, এই তিন জায়গায় বাঁশের সেতু দিয়ে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যার যোগাযোগ। বাঁশের সেতু পেরিয়ে মূল ভূখণ্ডে পৌঁছে তারপরই চিকিৎসা থেকে অন্য যে কোনও প্রয়োজনে যেতে হয় বাসিন্দাদের। কিন্তু মূল ভূখণ্ডে যেতে ভরসা বলতে যে তিন বাঁশের সেতু, আপাতত সবকটিই জলের তোড়ে ভেঙে গিয়েছে। একে বর্ষায় বেড়েছে মুণ্ডেশ্বরীর জল, অন্যদিকে রূপনারায়ণ থেকে ঢুকে পড়া প্রচুর পানার তোড়ে তিনটি বাঁশের সেতুই ভেঙে গিয়েছে। যার ফলে নিত্য প্রয়োজন থেকে চিকিৎসার জন্য যাতায়াত, সবেতেই ভরসা বলতে ভুটভুটি নৌকা। প্রবল সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।


ভাটোরার এই সেতু-সমস্যা দীর্ঘদিনের। বাসিন্দাদের বহুদিনের দাবি স্থায়ী সেতুর। কয়েকমাস আগেই যে কাজ অবশ্য শুরু হয়েছিল। রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী পুলক রায় শিলান্যাস করেছিলেন স্থায়ী সেতুর কাজ। বর্ষা এসে যাওয়ায় এই মুহূর্তে বন্ধ ছিল সেই কাজ। আর তার মাঝেই ঘটল বিপর্যয়। বাঁশের সেতু ভেঙে ফের একবার জলবন্দী বহু মানুষ। স্থায়ী সেতু বানানোর কাজ শুরু হলেও ফের একবার যন্ত্রণার সম্মুখীন হয়ে তাঁরা উগরে দিয়েছেন একরাশ হতাশা। 



                                                                                                   


আরও পড়ুন- হুমায়ুনের ইউ-টার্ন, নতুন দলের হুঁশিয়ারি সরিয়ে শীর্ষ নেতৃত্বে আস্থা, শো-কজে ক্ষমাপ্রার্থনা


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial