কলকাতা : বিদ্রোহ, বিক্ষোভ থেকে হুঁশিয়ারি ছেড়ে আস্থাপ্রকাশ ও ক্ষমাপ্রার্থনা। একেবারে ১৮০ ডিগ্রি ইউ-টার্ন হুমায়ুন কবীরের (Humayun Kabir)। ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়কের বার্তা, তৃণমূলের তিন সর্বোচ্চ নেতা-নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), সুব্রত বক্সী এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) ওপর তাঁর পূর্ণ আস্থা রয়েছে। শো-কজের উত্তরে জানালেন হুমায়ুন কবীর। পাশাপাশি মিডিয়ার সামনে দলের বিরুদ্ধে মুখ খোলার জন্য ক্ষমাপ্রার্থনাও করলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক। তবে জেলার যে সাংগঠনিক সমস্য়া সেখানে নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরছেন না তিনি। তাঁর আশা ভবিষ্যতে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁর আবেদন বিবেচনা করে দেখবেন।


পঞ্চায়েত নির্বাচনে মুর্শিদাবাদে তৃণমূল প্রার্থীদের দাঁড় করানো নিয়ে রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিরোধ শুরু হয় হুমায়ুন কবীরের। লাগাতার দলবিরোধী মন্তব্যে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়াচ্ছিলেন। যার জেরে হুমায়ুন কবীরকে (Humayun Kabir) শো-কজই করে তৃণমূল নেতৃত্ব ! ক'দিন আগেই বিধানসভায় দাঁড়িয়ে নাম না করে ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee)। বলেছিলেন, রেজিনগরে একজন আছেন যিনি গুন্ডামি করেন। আমাদের হলেও আমি এটাকে সমর্থন করি না।


প্রসঙ্গত, কখনও মুর্শিদাবাদে তৃণমূলকে কার্যত শেষ করে দেওয়ার হুমকি ! আবার কখনও সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ। পঞ্চায়েত ভোটের(Panchayat Election 2023) আগে থেকেই দলের বিরুদ্ধে বারবার সরব হয়েছেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। ভোট-পর্বের হিংসা নিয়ে কার্যত মুখ্য়মন্ত্রীকে প্রশ্ন ছুড়েছিলেন তিনি ! এমনকী, শো-কজ করার পরও শুরুতে সুর নরম করেননি হুমায়ুন। বরং শোকজের নোটিশ পেয়ে চক্রান্তের অভিযোগ করেছিলেন তিনি। এবার নিজের অবস্থান থেকে কার্যত ইউ-টার্ন নিলেন তিনি। পাশাপাশি শীর্ষনেতৃত্বের উপর আস্থাপ্রকাশ করার পাশাপাশি ক্ষমাও চাইলেন তিনি।


২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ দিবসের দিনও দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন তিনি। যার কিছুদিন পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন। যারপরই শো-কজ। তারপরও অবশ্য বিক্ষোভ-বিদ্রোহ জারি ছিল তাঁর। শেষমেশ অবশ্য শো-কজের জবাবে ক্ষমাপ্রার্থনা করে সর্বোচ্চ নেতৃত্বের প্রতি আস্থা প্রকাশ করলেন হুমায়ুন কবীর। যদিও জেলা পর্যায়ে যে বিরোধ, তা নিয়ে অবশ্য নমনীয় যে এখনই তিনি হচ্ছে না, সেটাও বুঝিয়ে দিয়েছেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক।                      


আরও পড়ুন- জলের তোড়ে ভাঙল বাঁশের সেতু, জলবন্দি ভাটোরার ৬০ হাজার মানুষ