কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টে বড়সড় স্বস্তি পেলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার সম্মতি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। সম্প্রতি শুভেন্দুর বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন এক আইনজীবী। অভিযোগের গ্রহণযোগ্যতা থাকলে এফআইআর করা যাবে বলে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এরপরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন সেই নিয়েই নতুন নির্দেশ শীর্ষ আদালতের।
প্রেক্ষাপট...
কলকাতা হাইকোর্টে মামলাকারী দাবি করেছিলেন, সদ্যসমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ও নির্বাচনের দিন একাধিক উস্কানিমূলক বক্তব্য রেখেছিলেন বিরোধী দলনেতা। উদাহরণ হিসেবে অভিযোগ করা হয়, বড়জোড়া, নন্দীগ্রাম, নয়াগ্রাম-সহ একাধিক জায়গায় তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে এই অশান্তির প্ররোচনা দিয়েছেন শুভেন্দু। কীসের ভিত্তিতে রাজ্যে জরুরি অবস্থা জারির কথা বলেছেন শুভেন্দু, কীসের ভিত্তিতে ৩৫৫ ধারা প্রয়োগের কথা বলছেন, তোলা হয় সেই প্রশ্নও। মামলাকারী আদালতে জানান, ১৩ই জানুয়ারি থেকে শুরু করে ৮ই জুলাই পর্যন্ত উস্কানিমূলক বক্তব্যের মাধ্যমে অশান্তিতে প্ররোচনা দেন শুভেন্দু। যে যে মর্মে শুভেন্দু অধিকারী হুমকি দিয়েছেন, সেই মোতাবেক অশান্তির ঘটনাও ঘটছে বলে অভিযোগ করা হয়েছিল। অভিযোগ দায়েরের পরেও পুলিশ কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না, সেই প্রশ্নও তোলা হয়েছিল আদালতে। মামলাকারীর আইনজীবী আদালতে বলেছিলেন, 'কলকাতা হাইকোর্ট থেকেই শুভেন্দু অধিকারী রক্ষাকবচ পেয়েছেন। আদালতের নির্দেশ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর করা যাবে না এই মর্মে কলকাতা হাইকোর্টের একজন বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন। ফলে আমরা যখনই অভিযোগ করছি তখনই পুলিশ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ দেখাচ্ছেন।' পাল্টা শুভেন্দুর আইনজীবী আদালতে বলেন, "এই মামলা জনস্বার্থ মামলা হিসাবে গ্রহণযোগ্য নয়। ২০২১-এর ৬ সেপ্টেম্বর শুভেন্দু অধিকারীকে এই রক্ষাকবচ দেওয়া হয়। সেই সময় শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ভুয়ো এফআইআর করেছিল রাজ্য পুলিশ। ৫ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ পর্যন্ত মামলা রুজু করেছে। ২৬ টি এফআই করা হয়েছিল। ডিভিশন বেঞ্চ থেকে শুরু করে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত রাজ্যের চ্যালেঞ্জ খারিজ হয়েছে।' এর পরই হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, তাঁর বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখবে পুলিশ। অভিযোগের গ্রহণযোগ্যতা থাকলে এফআইআরও দায়ের করতে পারবে। তবে একই সঙ্গে জানানো হয়েছিল, আদালতের অনুমতি ছাড়া কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না। সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন বিরোধী দলনেতা।
আরও পড়ুন:'মোদি পদবি' মামলায় সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি রাহুলের, ফিরছে সাংসদ পদও