হাওড়া: এবার বেসুরো বিজেপি নেতা (BJP) রন্তিদেব সেনগুপ্ত (Rantideb Sengupta)। হাওড়া দক্ষিণের (Howrah South Assembly Seat) পরাজিত বিজেপি প্রার্থীর ফেসবুক পোস্ট ঘিরে তৈরি হয়েছে জল্পনা। দীর্ঘ পোস্টে রন্তিদেব সেনগুপ্ত লিখেছেন, ইন্দিরা গান্ধী ব্যাঙ্ক জাতীয়করণ করেছিলেন। তাতে আমরা নিশ্চিন্ত হয়েছিলাম। তারপর থেকেই আমাদের সামান্য সঞ্চয়ের টাকাটুকু রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কেই রেখেছি। নিশ্চিন্ত থেকেছি। এতদিন পর আবার আমাদের নিরাপত্তা বোধে আঘাত লাগছে। সরকার বাহাদুর আবার এক অনিশ্চিত জীবনের দিকে ঠেলে দিয়ে মাথাপিছু ৫ লক্ষ টাকা ধরিয়ে দিয়ে মহান সাজতে চাইছেন।
এরপর রন্তিদেব আরও লিখেছেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি বলেছেন, ব্যাঙ্ক ফেল করলে প্রত্যেক আমানতকারীকে ৫ লক্ষ টাকা করে দেবেন সরকার বাহাদুর। ...কিন্তু দেশের প্রধানমন্ত্রী এখন ব্যাঙ্ক ফেল করার আগাম একটি গাওনা গাইছেন কেন? ... বেচে দেওয়ার এক ভয়াবহ খেলায় নেমেছেন তাঁরা। সে খেলায় আদানি আম্বানিদের ভারত ধনে মানে আরও সম্পদশালী হয়ে উঠবে হয়তো, কিন্তু আমরা এসে পৌঁছব সর্বনাশের দ্বারপ্রান্তে। কল্যাণকামী রাষ্ট্র থেকে এই রাষ্ট্রটিকে তাঁরা ক্রমশ একটি ব্যবসায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাইছেন। ফেসবুক পোস্টে লেখেন রন্তিদেব সেনগুপ্ত।
এর আগেই বেসুরো গেয়েছেন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির আর এক পরাজিত প্রার্থী প্রবীর ঘোষাল। কিছুদিন আগে সাংবাদিক বৈঠকে দলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন প্রবীর ঘোষাল ( Prabir Ghoshal )। তাঁর দাবি, বিজেপিতে আমি মানসিকভাবে নেই। রাজনৈতিক দল, কিন্তু ভিতরে যা কিছুর মুখোমুখি হয়েছি, তা ভয়ঙ্কর!!
বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ত্যাগী প্রবীর ঘোষালের দাবি,' আমাদের মতো লোকের কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে। এত বিড়ম্বনায় পড়তে হবে ভাবতে পারিনি। এত কমিটি ভোটের সময় টাকা টাকা করে পাগল করে দিয়েছিল, এত খারাপ অবস্থা ভাবতে পারিনি।'
এর পাশাপাশি, তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন নিয়ে জল্পনা জিইয়ে রেখেছেন প্রবীর ঘোষাল। এর আগে তৃণমূলের মুখপত্র জাগো বাংলায় ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। সেখানে তিনি লেখেন, কেন বিজেপি করা যায় না! ওখানে কাজ করার থেকে টাকা চাওয়ার লোক বেশি। বিধানসভা ভোটের আগে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন প্রবীর ঘোষাল। বিজেপির টিকিটে উত্তরপাড়া কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়ে তৃণমূল প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন।