সুনীত হালদার, হাওড়া : পঞ্চমীর সকালে অবরুদ্ধ হল হাওড়া ব্রিজ ( Howrah Bridge ) । পুজোয় ঠাকুর দেখার জন্য নয়। সারনা ধর্মের কেন্দ্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে ৫টি রাজ্যের আদিবাসীদের কলকাতা অভিযানে কার্যত আটকে পড়ল রবীন্দ্র সেতু। ভিড়ের চাপে পঞ্চমীর সকালে মিনিট ৪৫  যান চলাচলও বন্ধ হয়ে যায় হাওড়া ব্রিজে।


ট্রাফিক জ্যামে জর্জরিত মহানগরী
গঙ্গার দু’ পাড়ে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ বাস, গাড়ির লাইন পড়ে যায়। ভয়ঙ্কর অবস্থা হয় হাওড়া ও কলকাতার সংযোগকারী রাস্তাগুলির।  আটকে পড়েন হাজার হাজার অফিসযাত্রী। কার্যত বাসে বসে থাকা ছাড়া গতি ছাল না কারও। একে ঠাকুর দেখার জেরে তৃতীয়া থেকেই ট্রাফিক জ্যামে জর্জরিত মহানগরী। ভিড়ের চাপ এসে পড়েছে গঙ্গার এপাড়েও। কিন্তু পঞ্চমীর সকালে এমন নাকাল হতে হবে যে, আশা করেননি কেউই। 


কোন কোন রাস্তায় জ্যাম
 আদিবাসীদের কলকাতা অভিযানের জের। পঞ্চমীর সকালে হাওড়া ব্রিজ ছাড়াও বড়বাজার, ডালহৌসি, ধর্মতলা চত্বরে ব্যাপক যানজট। স্ট্র্যান্ড রোড, ব্রেবোর্ন রোড, গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ, এন এন ব্যানার্জি রোডে যানজট ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ। ভোগান্তির শিকার অফিসযাত্রীরা। 


সারনা ধর্মের কেন্দ্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা ও  ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ড ও অসম থেকে আসা আদিবাসীরা জড়ো হবেন রানি রাসমণি রোডে। সেখানে সভা শেষে রাজ্যপালকে স্মারকলিপি দেবেন আদিবাসী সংগঠনের প্রতিনিধিরা। 


এর আগে গত সপ্তাহে কুড়মি আন্দোলনের জেরে হাওড়া ব্রিজে প্রবল যানজট দেখা যায়। গত ২৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষরা দূরদূরান্ত থেকে ট্রেনে চড়ে হাওড়া স্টেশনে এসে পৌঁছযন । তাঁরা সেখান থেকে মিছিল করে হাওড়া ব্রিজ হয়ে কলকাতা রানি রাসমণি রোডের উদ্দেশে রওনা দেন । এর জেরে হাওড়া অঞ্চলে প্রবল যানজটের সৃষ্টি হয়। কুর্মিদের আন্দোলনে যখন স্তব্ধ জঙ্গলমহলের একাংশের রেল ও সড়ক যোগাযোগ, তখন আদিবাসীদের মিছিলে বেশ কিছুক্ষণের জন্য থমকে যায় হাওড়া ব্রিজ। বর্শা-তীরধনুক, ধামসা-মাদল নিয়ে দীর্ঘ মিছিল হয় সেদিন। নানা দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীকে গণডেপুটেশন দেওয়ার জন্য, শুক্রবার সকালে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান থেকে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা হাওড়া স্টেশনে এসে পৌঁছন।