সুনীত হালদার, হাওড়া : হাওড়ায় (Howrah) বাজারের মধ্যে ভর দুপুরবেলা ব্যবসায়ীকে খুন (Murder)। বুকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়। দিনে দুপুরে এই ঘটনায় আতঙ্কিত বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতা সকলেই। পুলিশের (Police) অনুমান, খুনে অভিযুক্ত বিহারে পালিয়ে গেছে। তাঁর খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।
ঠিক কী ঘটেছে
হাওড়া স্টেশন লাগোয়া পাইকারি সবজি বাজার। দুপুরবেলাও ক্রেতা-বিক্রেতাদের গমগমে ভিড়। আর এই ভরা বাজারেই, বৃহস্পতিবার দুপুরে খুন হন এক হোটেল ব্যবসায়ী। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ঝড়ো চৌধুরী নামে ওই হোটেল ব্যবসায়ীর সঙ্গে আচমকাই তর্কাতর্কি বাঁধে এক মুটের। তর্কাতর্কি থেকে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। সেই সময় বরণ সাহানি নামে বিহারের বাসিন্দা ওই মুটে ব্যবসায়ীর বুকে ধারাল ছুরি গেঁথে দেয়। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন ব্যবসায়ী। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনার জেরে আতঙ্কে বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতারা।
নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি
হাওড়া ভেজিটেবল মার্কেট অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি বিনয় সোনকার বলেছেন, 'এত বড় বাজার। বাইরের জেলা থেকে প্রচুর ক্রেতা এবং বিক্রেতা আসেন। সবার উপর নজরদারি সম্ভব নয়। কে পকেটে করে ছুরি নিয়ে আসছে তাও জানা সম্ভব নয়। ব্যবসায়ীরা এক বৈঠক ডেকেছেন কিভাবে এই ধরনের অপরাধমূলক কাজকর্ম রোখা যায়। পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা চাওয়া হবে। বাজারে সিসিটিভি বসানো হবে।'
কী বলছে পুলিশ
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পুরনো শত্রুতার জেরেই এই হত্যাকাণ্ড। খুনে অভিযুক্ত বরণ সাহানি সম্ভবত বিহারে পালিয়ে গেছে। তাঁর খোঁজে বিহারে টিম যাবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
কিছুদিন আগে পিছন দিক থেকে মাথার চপার দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয়েছিল এক ব্যবসায়ীকে। ১০ ঘণ্টার মধ্যেই হাওড়ার (howrah) শিবপুরের (shibpur) ব্যবসায়ীর (businessman) খুনের (murder) কিনারাও (solve) করে হাওড়া সিটি পুলিশ (howrah city police)। ফ্ল্যাটের সিঁড়িতেই ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার (arrest) করা হয় পালিত পুত্র-সহ ২। পুলিশের দাবি, সম্পত্তি ও টাকার লোভেই সুপারি কিলার লাগিয়ে খুন করা হয়েছিল শেখ তৈয়ব আলিকে। গত সেপ্টেম্বরেও দক্ষিণবঙ্গের এই জেলার আর এক ব্যবসায়ী পঙ্কজ সিংহকে শেক্সপিয়র সরণীর থানার এক কিলোমিটারের মধ্যে, গোর্কি সদলের সামনে গুলি করা হয়। সে সময় গুলি চালানো হয় দেশি পিস্তল থেকে।
আরও পড়ুন- বর্ধমানে ফের সিপিএম অফিসে তালা, অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে