সুনীত হালদার, শুভেন্দু দাস ও পার্থ প্রতিম ঘোষ, হাওড়া: তৃণমূল-তৃণমূলের দ্বন্দ্বেও উঠল চোর-চোর স্লোগান। মুখ্যমন্ত্রীর (CM Mamata Banerjee) কড়া বার্তার পরেও হাওড়ায় কার্নিভাল ঘিরে তৃণমূলের দ্বন্দ্ব তুঙ্গে। মন্ত্রী মনোজ তিওয়ারির অনুগামীদের সঙ্গে পুর প্রশাসকের অনুগামীদের সংঘাত। মধ্যস্থতা করতে গেলে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সামনেই শুরু হয় দুপক্ষের হাতাহাতি। মন্ত্রী মনোজকে ঘিরেও ধাক্কাধাক্কি।
তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ক্রিসমাস কার্নিভাল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় হাওড়া পুরসভা। যদিও কয়েকঘণ্টার মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয় পুরসভার তরফে। দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের নির্দেশে এদিন দুপুর ২টো থেকে ফের চালু হয় ক্রিসমাস কার্নিভাল। আর এই কার্নিভাল শুরুর আগে ফের ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। মন্ত্রী মনোজ তিওয়ারির অনুগামীদের সঙ্গে পুর প্রশাসকের অনুগামীদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সামনেই এই ঘটনা ঘটে।
কী ঘটেছিল?
কার্নিভালে বেআইনি পার্কিং ফি আদায়ের অভিযোগ তোলেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি। অভিযোগ, মন্ত্রী ঘনিষ্ঠরা কার্নিভালে চড়াও হয়ে তাণ্ডব চালায়। পার্কিং লটের কর্মীদের কাছ থেকে স্লিপ কেড়ে নিয়ে ছিঁড়ে দেওয়া হয়। এরপরই নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে পাঁচদিনের মাথায় কার্নিভাল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় হাওড়া পুরসভা। এই ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনাকে অনভিপ্রেত বলে মন্তব্য করেন হাওড়া পুরসভার প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী। গতকালের ঘটনাকে গুন্ডামি বলে আক্রমণ করেন মন্ত্রী অরূপ রায়।
পুরসভার ক্রিসমাস কার্নিভাল বন্ধের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী। কার্নিভাল শুরু করতে এদিন সকালেই নির্দেশ দেওয়ার পাশপাশি অশান্তি নিয়ে কড়া বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কার্নিভাল হবে। আমি পুলিশকে সকালেই নির্দেশ দিয়ে দিয়েছি। ওই কার্নিভাল কমিটি বন্ধ করেছিল কালকে আটটার সময়। আর ওটা বন্ধ করার কোনও কারণ ছিল না। যদি কোনওরকম কেউ কাউকে কোনও কথা বলে সেটা নিয়ে কার্নিভাল বন্ধ করার কোনও ব্যপার নেই। সেটা আইনত প্রশাসনকে জানাতে পারত। দু'পক্ষই আমি বলব যে, আইনত যা যা অ্যাকশন নেওয়ার পুলিশ নেবে।কেউ কোনও বাধা সৃষ্টি করলে আইন আইনের পথে চলবে। এটা ঠিক নয়, আমি এসব সাপোর্ট করি না। ’’
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।