আবির দত্ত, কলকাতা: হাওড়ায় (Howrah) যেতে সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar) দফায় দফায় বাধা পুলিশের (Police)। নিউটাউনের (Newtown) বাড়ি থেকে বেরোলেও দ্বিতীয় হুগলি সেতুর টোলপ্লাজায় গ্রেফতার বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি। এদিন সকালে প্রথমে নিউটাউনের বাড়িতে আটকে দেওয়া হয় বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। জোর করে বেরোনর চেষ্টা করলে ধুন্ধুমার বাঁধে তখনই।
এরপর পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের বচসা, ধস্তাধস্তি চলে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গেও পুলিশের হাতাহাতি চলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সুকান্তের বাড়ির সামনে বসানো হয় গার্ড রেল। সেই গার্ড রেল ভেঙে দেন বিজেপি কর্মীরা। পুলিশের সঙ্গে তুমুল তর্কাতর্কির পর বাড়ি থেকে বেরিয়ে দ্বিতীয় হুগলি সেতু ধরে হাওড়ার উদ্দেশে রওনা হন সুকান্ত মজুমদার। গতকাল হাওড়ায় বিজেপির যে সমস্ত পার্টি অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে, সেগুলি আজ পরিদর্শনে যাওয়ার কথা ছিল বিজেপি রাজ্য সভাপতির।,
আরও পড়ুন, 'পাপ করল বিজেপি, কষ্ট করবে জনগণ?' হাওড়ার হিংসা নিয়ে ট্যুইটে কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
কী ঘটেছে?
দ্বিতীয় হুগলি সেতুর টোল প্লাজার কাছে কলকাতা ও হাওড়া কমিশনারেটের বিশাল পুলিশ বাহিনী আটকায় সুকান্ত মজুমদারকে। গাড়ি থেকে নেমে এরপর পুলিশের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। সেই সময় হাওড়া পুলিশ কমিশনারেট জানিয়ে দেন যেহেতু ১৪৪ ধারা চলছে সেখানে তাই যেতে দেওয়া হবে না বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে। কিন্তু গণতান্ত্রিক অধিকার খাটিয়ে এরপরও সেখানে যেতে চান তিনি। এরপরই পুলিশের তরফে সাফ জানান হয় নিয়ম অগ্রাহ্য করলে তাঁকে গ্রেফতার করা হবে। সেই সময়ই বিজেপি নেতা জানিয়ে দেন তিনি গ্রেফতার হতেও রাজি। সাংবাদিকদের বলেন যে তাঁকে অগণতান্ত্রিকভাবেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
এরপর প্রিজন ভ্যানে তুলে লালবাজারের সেন্ট্রাল লক-আপে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও পুলিশের তরফে সুকান্ত মজুমদারকে গ্রেফতার করা হয়েছে না আটক করা হয়েছে সে বিষয়ে অফিসিয়ালি কিছু বলা হয়নি।
এদিকে কালই যাবেন হাওড়া এমনটা জানালেন শুভেন্দু অধিকারী। সুকান্তদের হাওড়ায় যেতে না দেওয়ায় প্রশাসনের তীব্র সমালোচনা। ‘যেভাবে সুকান্ত, প্রিয়ঙ্কাদের বাধা দেওয়া হয়েছে তা নিন্দনীয়। তাঁরা যে সত্যিটা লুকোচ্ছে, এটা তার প্রমাণ। কাল হাওড়া গ্রামীণের ভস্মীভূত পার্টি অফিসে যাব’, ট্যুইট রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর।