সুনীত হালদার, হাওড়া: ঘূর্ণিঝড় ‘জওয়াদ’-এর জেরে দুর্যোগের আশঙ্কায় হাওড়া শহরের জন্যও কন্ট্রোল রুম চালু করছে হাওড়া পুরসভা। এই কন্ট্রোল রুমের নম্বর দু’টি হল ৬২৯২২৩২৮৭০ ও ৬২৯২২৩২৮৭১। আজ সকাল থেকে সোমবার পর্যন্ত  এই কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে ২৪ ঘন্টা।


হাওড়া পুরসভার প্রশাসকমন্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ‘বিপর্যয়ের সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বৃষ্টির জেরে যে সমস্ত ওয়ার্ডগুলি জলমগ্ন হতে পারে, সেখানে অতিরিক্ত পাম্প বসানো হচ্ছে। এই ওয়ার্ডগুলি হল ১৯, ২০, ২১, ৭, ৮, ৯, ৫০। ১২টি পাম্পিং স্টেশন তৈরি রাখা হচ্ছে। ৪০টি পাম্প প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। পর্যন্ত পরিমাণে শুকনো খাবার, জলের পাউচ মজুত রাখা হচ্ছে। জলমগ্ন হতে পারে যে ওয়ার্ডগুলি, সেখানে আটটি স্কুলে স্থানীয় বাসিন্দাদের থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রয়োজনে স্থানীয় বাসিন্দাদের সেখানে আশ্রয় দেওয়া হবে। এছাড়াও মজুত রাখা হচ্ছে ত্রিপল। তৈরি রাখা হয়েছে পুরসভার বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে। ছুটি  বাতিল করা হয়েছে।’


এদিকে, বর্তমানে বিশাখাপত্তনম থেকে ২২০ কিলোমিটার, পুরী থেকে ৪০০ কিলোমিটার এবং পারাদ্বীপ থেকে ৪৮০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থান করছে এই ঘূর্ণিঝড়। ‘জওয়াদ’ সঙ্গী অমাবস্যার ভরা কটাল। দুইয়ের জেরে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে প্রবল জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা। বাঁধ উপচে ঢুকতে পারে জল। 


ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় সকাল থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। আজ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া ও হুগলিতে। আগামীকাল কলকাতাতেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। সমুদ্র উত্তাল থাকায় মৎস্যজীবীদের জন্য জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। 


সকাল থেকে দিঘায় শুরু হয়েছে হালকা বৃষ্টি। সমুদ্র কিছুটা উত্তাল হলেও জল এখনও গার্ডওয়াল টপকে যায়নি। আগেভাগেই পর্যটকদের সমুদ্রে নামায় জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। নজরদারি চালাচ্ছে প্রশাসন। হুইসল বাজিয়ে সতর্ক করছে পুলিশ। পাশাপাশি, ব্যবসায়ীদের দোকান বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছে এনডিআরএফ। 


বকখালিতেও সকাল থেকে ঝিরঝিরে বৃষ্টি। তার মধ্যেই পর্যটকদের ভিড় চোখে পড়েছে। তাঁদের সরিয়ে দেন পুলিশকর্মীরা।