সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: বঙ্গোপসাগরে (Bay Of Bengal) তৈরি নিম্নচাপ ইতিমধ্যেই পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড় জওয়াদে (Jawad)। বর্তমানে বিশাখাপত্তনম থেকে ২৫০, পুরী (Puri) থেকে ৪৩০, পারাদ্বীপ (Paradwip) থেকে ৫১০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থান করছে এই ঘূর্ণিঝড় (Cyclone)। আজ সকালের মধ্যেই উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ ও দক্ষিণ ওড়িশা উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে জওয়াদ। তার পর আরও কিছুটা উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে বাঁক নিয়ে ওড়িশা উপকূল বরাবর সরে আগামীকাল দুপুর নাগাদ পুরী উপকূলের কাছে পৌঁছবে। এরপর ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ বাংলার (West Bengal) দিকে হলেও, ক্রমশ তা শক্তিক্ষয় করবে।


এর প্রভাবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া সম্ভাবনা। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় আজ থেকেই শুরু হবে বৃষ্টি। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া ও হুগলিতে। আগামীকাল কলকাতাতেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সমুদ্র উত্তাল থাকায় মত্স্যজীবীদের জন্য জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। 





এই প্রেক্ষিতে রাজ্য প্রশাসনের তরফে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।  গঙ্গাসাগর কোস্টাল থানার তরফে মত্‍স্যজীবীরা যাতে মাছ ধরতে না যান, সে বিষয়ে মাইকে প্রচার চালানো হয়।  নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জেও সতর্ক করা হয় মত্‍স্যজীবীদের।  জেলা প্রশাসনের দাবি, পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবরকম ব্যবস্থাই নেওয়া হয়েছে।  


 


ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতায় উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে চলছে সচেতনতামূলক প্রচার। শনি ও রবিবার নদী-সমুদ্রে যাতে কোনও জলযান না যায় তার জন্য বার্তা দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। দিঘা, মন্দারমণিতে খালি করে দেওয়া হচ্ছে হোটেল। ফসল রক্ষা করতে ধান, আলু ঘরে তোলা শুরু করেছেন কৃষকরা।


আজ সকাল থেকেই আকাশ মেঘলা থাকবে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সতর্কতাও জারি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে। এই নিম্নচাপের ফলে বেড়েছে তাপমাত্রা। আজ দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হবে ২৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হবে ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বাধিক ৯২ শতাংশ, ন্যূনতম ৪৬ শতাংশ।