সুনীত হালদার, হাওড়া : হাওড়ার (Howrah) শ্যামপুর (Shampur) বধূর মৃত্যু ঘিরে রহস্য। সিভিক ভলান্টিয়ার (Civic Volunteer) স্বামী বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ায় বিষ খেয়ে আত্মঘাতী (Suicide), দাবি মৃতের পরিবারের। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার সিভিক ভলান্টিয়ার। ধৃতকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত (Court)। 


স্ত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল হাওড়ার শ্যামপুর থানার এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে। ধৃতের নাম কৃষ্ণেন্দু জানা। স্থানীয় সূত্রে খবর, ২০১৮-য় শ্যামপুরের গোয়ালবাড়িয়ার পায়েল জানার সঙ্গে বিয়ে হয় কৃষ্ণেন্দুর। দম্পতির একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। পায়েলের পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই তাঁর উপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করা হতো। তাঁদের আরও অভিযোগ, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন কৃষ্ণেন্দু। পরিবারের দাবি, এরপরই সোমবার বিষ পান করেন পায়েল। মঙ্গলবার উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। গ্রেফতারি নিয়ে সিভিকি ভলান্টিয়ারের পরিবারের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। 


আরও পড়ুন- হাওড়া শিল্পাঞ্চলে দুষ্কৃতী হানা, লোহার দোকান থেকে প্রায় কোটি টাকা লুঠের অভিযোগ


এদিকে, অনেকটা এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল বর্ধমানও। সেখানে ফল প্রকাশের পরের দিন এক কলেজ ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। বর্ধমান পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ওই তরুণী। সন্ধেয় বাড়ি থেকে ওই ছাত্রীকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধারের পরে তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ, কেউ আদৌ এই ঘটনায় প্ররোচিত করেছিল কি না, তা দেখছে পুলিশ। উল্লেখ্য, গতকালই মানিকতলা থানা (Maniktala Police Station) এলাকায় যুবকের মৃত্যু ঘিরে রহস্য দানা বাঁধে। বাড়ির কাছেই আজ ভোরে উদ্ধার হয় রক্তাক্ত মৃতদেহ। পরিবার ও প্রতিবেশীদের অভিযোগ, মৃত্যুর পিছনে দাম্পত্য বিবাদ সংক্রান্ত কারণ থাকতে পারে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।