সুনীত হালদার, হাওড়া: জলযন্ত্রণা হাওড়ার দাসনগর এলাকায়। গত তিন সপ্তাহ আগে বৃষ্টি হয়েছিল এই এলাকায়। এরপর থেকেই জল জমেছিল এই এলাকায়। একটু বৃষ্টি হলেই সেই এলাকায় জল জমে যায়। বহুদিন ধরেই এই সমস্যায় ভুগছেন এলাকার বাসিন্দারা। জল নামলেও দীর্ঘদিন ধরেই একই সমস্যায় ভোগান্তির মুখে পড়েছে এলাকার বাসিন্দারা। 


প্রায় সপ্তাহ তিনেক আগে ভারী বর্ষণ হলেও তার রেশ কাটেনি হাওড়ার দাসনগর এলাকায়। হাওড়া পুরসভা ৯ নম্বর এবং ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কিছু এলাকায় আজ সকালে হাওড়া পুরসভা প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান চিকিৎসক সুজয় চক্রবর্তী ফের জলমগ্ন এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখেন। তিনি আশ্বাস দেন পাম্প চালানোর পাশাপাশি টাঙকের মাধ্যমে দ্রুত জমা জল তুলে নেওয়া হবে।


কিছুদিন আগে দফায় দফায় বর্ষণের জেরে হাওড়া পুরসভার বেশ কিছু নিচু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। কোথাও হাঁটু সমান বা কোথাও কোমর সমান জল দাঁড়িয়ে যায়। জল ঢুকে যায় গৃহস্থের ঘরে ঘরে। হাওড়া পৌরসভার পক্ষ থেকে দশটি পাম্প হাউস চালানোর পাশাপাশি অতিরিক্ত পাম্প চালিয়ে জল সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু বেশ কিছু নিচু এলাকায় এখনো জল দাঁড়িয়ে আছে। পুরসভার ৯ নম্বর এবং ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের কাশীপুর এলাকায় এখনো জল দাঁড়িয়ে আছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ বৃষ্টি থেমে গেলেও জল নামছে না। নিকাশি ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার ফলে নোংরা জল ঘেঁটে তারা যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে দুর্ঘটনা ঘটছে। পুরসভাকে বারবার জানানো সত্ত্বেও কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না। কিছুদিন আগে স্থানীয় বাসিন্দারা বেহাল নিকাশি ব্যবস্থার উন্নতির দাবিতে প্ল্যাকার্ড হাতে হাওড়া আমতা রোড অবরোধ করেন। নড়েচড়ে বসে হাওড়া পুরসভা। গত সপ্তাহে হাওড়া পুরসভার প্রশাসনিক চেয়ারম্যানের দায়িত্ব মন্ত্রী অরূপ রায়ের হাত থেকে সুজন চক্রবর্তীর হাতে যায়। এরপর তিনি নিজেও দিন তিনেক আগে এলাকা পরিদর্শন করে বেশ কয়েকটি পাম্প বসানোর নির্দেশ দেন। কিন্তু তা সত্বেও পুরোপুরি জল না নামার কারণে আজ তিনি ফের এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন পাম্প চালানোর পাশাপাশি পুরসভার নাইট সয়েল তোলার গাড়িগুলিতে এবারে পাম্প করে জমা জল তুলে নেওয়া হবে। এরপর সেই জল দূরে নিকাশি নালায় ফেলা হবে। এতে জল দ্রুত নামবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।.