সুনীত হালদার, হাওড়া: শীত মানে নানা রকমের ফুল, সেই ফুলের প্রদর্শনী না হলে চলে? সে কথা মাথায় রেখেই মধ্য হাওড়ার বিজয়ানন্দ পার্কে শুরু হয়ে গেল হাওড়া ফুল মেলা (Howrah Flower Fair)। চার দিন ধরে এই মেলা চলার কথা। আজ, বৃহস্পতিবার এই মেলার উদ্বোধন করেন রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দপ্তরের মন্ত্রী অরূপ রায় (Minister Arup Roy)।


মেলা ঘিরে...
রকমারি ফুলের প্রদর্শনীর পাশাপাশি আগামী চার দিন সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে। প্রথম দিনেই মাঠে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। এই মেলার আয়োজন করেছে হাওড়া বৃক্ষ ও পুষ্পপ্রেমী সংগঠন। এক ঝলক দেখলে মনে হবে, হাওড়া শিল্পাঞ্চলের বুকে যেন এক টুকরো ফুলের গালিচা বিছিয়ে দিয়েছে কেউ। বিজয়ানন্দ পার্কের গোটা মাঠ জুড়ে এই মুহূর্তে ফুলের সাজ। এই নিয়ে নানা প্রতিযোগিতাও রয়েছে। শীতকালীন মরশুমি ফুলের পাশাপাশি রকমারি গোলাপ, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, জিনিয়া, গাঁদা এবং অর্কিডের সৌন্দর্যও দর্শকদের টবের সামনে আটকে দিচ্ছে। ফুলের পাশাপাশি রয়েছে নানা ধরনের সবজি। প্রথম দিনেই ছোট থেকে বড় সকলেই ভিড় জমিয়েছেন মেলায়। ফুলের পাশাপাশি প্রত্যেকদিন সন্ধ্যার জমজমাট সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও এই মেলার অন্যতম আকর্ষণ। মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, 'এই ফুল মেলা ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা অর্জন করছে। বাইরে থেকেও প্রচুর লোক এই মেলায় ভিড় করছেন ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে।' হাওড়া বৃক্ষ এবং পুষ্প প্রেমী সংগঠনের সম্পাদক শ্যামল মিত্র জানালেন, শুধু হাওড়া নয়। কলকাতা থেকেও পুষ্পপ্রেমীরা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন। প্রতিযোগীদের মধ্য থেকে সেরা বেছে নিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁর  আশা, এই মেলা পুষ্প-প্রেমী দর্শকদের আনন্দ দেবে।


এ জে সি বোস ইন্ডিয়ান বোটানিক গার্ডেন্স
এমনিতে বিখ্যাত বোটানিক গার্ডেন্সের আকর্ষণে বছরভরই কম-বেশি দর্শকের ভিড় লেগে থাকে হাওড়ার একটি নির্দিষ্ট অংশে। বোটানিক গার্ডেন্সের সেই বিখ্যাত বটগাছের গল্প হয়তো অনেকেরই শোনা। শীতের রোদ মেখে সবুজ ঘেরা এই জায়গাটায় খুব সহজে পৌঁছে যেতে পারেন যে কেউ। বটগাছ ছাড়াও এখানে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। হুগলি নদীর তীরে অবস্থিত শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ লাগোয়া এই জায়গাটা হতেই পারে শীতের ছুটির দিন কাটানোর গন্তব্য। এখানে বিভিন্ন বিরল প্রজাতির গাছ সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। বোটানিক গার্ডেন্সে প্লাস্টিক ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এবার সে সঙ্গে আকর্ষণের কেন্দ্র এই চারদিনের মেলা।


আরও পড়ুন:'রোজ ১০০ কিলোমিটার সাইকেল চালাচ্ছি', এক পা আর মনের জোরে অযোধ্যায় পৌঁছতে পারবেন বাংলার যুবক?