সুনীত হালদার, ডোমজুড় (হাওড়া): ডোমজুড় জুড়ে রমরমিয়ে চলছে ভেজাল আটা-চক্র (Adulterated flour Racket) । একশ্রেণীর খরিদ্দার রেশন দোকান (Ration Shops) থেকে গরিবদের জন্য বরাদ্দ আটা তুলে নিয়ে তা বিক্রি করছে আটা কলে। আটা কলগুলি আবার সেই আটা অন্য আটার সঙ্গে মিশিয়ে চড়া দামে (High Prices) খোলাবাজারে (Open Market) বিক্রি করছে। ফলে তাদের লাভের অঙ্ক বাড়ছে। এই ঘটনা নিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ।
রাজ্য সরকারের খাদ্য দপ্তর বিপিএল তালিকাভুক্ত উপভোক্তাদের জন্য রেশনে বিনামূল্যে প্যাকেটবন্দি আটা দেয়। প্রতি উপভোক্তা মাসে তিন কেজি করে আটা পান। এছাড়াও অন্নপূর্ণা যোজনায় উপভোক্তারা আরও অনেক বেশি আটা বিনামূল্যে রেশন দোকান থেকে পান। উপভোক্তাদের অভিযোগ রেশন দোকানে সরবরাহ করা আটার মান খুব খারাপ। আটাতে ভুষি বেশি এবং সুস্বাদু নয়। তাই তাঁরা ওই আটা রুটি তৈরি না করে স্থানীয় আটা কলে বিক্রি করে দিচ্ছেন। আটা কলের মালিকরা আবার সেই আটা তাঁদের তৈরি নতুন আটার সঙ্গে মিশিয়ে চড়া দরে বিক্রি করছেন খোলাবাজারে।
এই চক্র চলছে ডোমজুড়ের উত্তর ঝাপরদহ, দক্ষিণ ঝাপরদহ এবং বেগড়িতে। সম্প্রতি ডোমজুড়ের উত্তর ঝাপরদহ এলাকায় ক্রেতাদের থেকে অভিযোগ পেয়ে ডোমজুড় থানার পুলিশ হানা দেয় আটা কলে। আটা কলের মালিক রেশনে বরাদ্দ আটা উপভোক্তাদের থেকে কেনার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন , উপভোক্তারা রেশনের আটা খেতে না পেরে তাদের বিক্রি করছেন। তারা সেই আটা কিনে তা থেকে নতুন আটা তৈরি করে বাজারে বিক্রি করছেন। তিনি আরো বলেন, আটার বদলে সরকারের গম দিলে ক্রেতাদের সুবিধা হতে পারে। এদিকে জেলা খাদ্য দপ্তরের এক আধিকারিক সরকারি আটা বিক্রির কথা স্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এভাবে সরকারের দেওয়া আটা খোলাবাজারে বিক্রি বেআইনি। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সরকারি আটা কিনে ব্যবসা করছে। তিনি আরও বলেন, তাঁরা অভিযোগ পেলে পুলিশকে নিয়ে অভিযান চালান।