Karnataka Hijab Controversy: হিজাব-বিতর্কে এবার নয়া মোড়।  কর্ণাটকের ছাত্রী ভিভি মুসকানের পাশে দাঁড়াল রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ (আরএসএস)। সংগঠনের মুসলিম শাখার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, পর্দা ভারতীয় সংস্কৃতির অঙ্গ। আরএসএসের মুসলিম শাখা, মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ হিজাব পরা নিয়ে মুসকানের আর্জিকেই সমর্থন জানিয়েছে। তাঁকে ঘিরে গেরুয়াধারীদের বিক্ষোভের  নিন্দা করেছে মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ। 


উত্তরপ্রদেশের অবধ প্রান্ত সঞ্চালক অনিল সিংহ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বলেছেন, মুসকান আমাদের সম্প্রদায়ের মেয়ে  ও বোন। এই সংকটের সময়ে আমরা তার পাশে রয়েছি।&nbsp





;


মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ তাদের বয়ানে বলেছে, হিন্দু সংস্কৃতি মহিলাদের সম্মান করতে শেখায়।  আর তাঁকে ঘিরে যাঁরা জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিয়েছেন, তাঁকে সন্ত্রস্ত করে তুলতে চেয়েছেন, তাঁরা ভুল করেছেন।


বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, মহিলাদের হিজাব পরার সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে। ওই তরুণী যদি ক্যাম্পাসে পোশাক বিধি লঙ্ঘন করে থাকেন, তাহলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু গলায় গেরুয়া উত্তরীয় ঝুলিয়ে জয় শ্রী রাম স্লোগান তোলার ঘটনা গ্রহণযোগ্য নয়। তাঁরা হিন্দু সংস্কৃতির বদনাম করেছেন। 


অনিল সিংহ বলেছেন, হিজাব বা পর্দা ভারতীয় সংস্কৃতিক অঙ্গ। হিন্দু মহিলারা নিজদের পছন্দ অনুযায়ী পর্দা পরেন। আর এই শর্ত মুসকানের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। সিংহ আরও বলেছেন, আমাদের সরসংঘচালক বলেছেন, মুসলিমরা আমাদের ভাই আর দুই সম্প্রদায়ের ডিএনএ একই। আমি হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের মুসলিমদের ভাই হিসেবে স্বীকার  করার আর্জি জানাচ্ছি। 


এদিকে, হিজাব বিতর্কের রেশ এসে পৌঁছয় সুপ্রিম কোর্টের। প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিব্বল বৃহস্পতিবার বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে তোলেন। তিনি বলেন, ২ মাস পর পরীক্ষা। কিন্তু মেয়েদের স্কুলে আসতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তাদের ওপর পাথর ছোড়া হচ্ছে। সিব্বল বলেন, এটাও ধর্মীয় মামলায় মতোই, যা নিয়ে ৯ বিচারপতির বেঞ্চ শুনানি করেছিল। উল্লেখ্য, শবরীমালা মন্দির বিতর্কের বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের নয় বিচারপতির বেঞ্চে হয়েছিল। সিব্বলের আর্জির ব্যাপারে প্রধান বিচারপতি বলেন,  কর্ণাটক হাইকোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চ মামলার শুনানি করছে। আপাতত সেখানেই শুনানি হোক।