সুনীত হালদার, হাওড়া: হাওড়ার (Howrah) ডোমজুড়ে (Domjur) সর্ষের তেলের কারখানায় হানা কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের (EB)।  অভিযোগ, কারখানায় ভেজাল মেশানা হত সর্ষের তেলে।  তারপর তা খাঁটি সর্ষের তেল বলে বিক্রি করা হত বলে অভিযোগ।  ইবি সূত্রে দাবি, কারখানা থেকে ১১ হাজারের বেশি তেলের পাউচ ও টিন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। 


ভেজাল সর্ষের তেলের কারবারের পর্দাফাঁস। কারখানায় হানা কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের। ইবি সূত্রে দাবি, বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ১১ হাজারের বেশি তেলের পাউচ ও টিন।  


ডোমজুড়ের ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্সে সর্ষের তেলের ঘানি ও কারখানা। সেখানেই সোমবার অভিযান চালায় কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ বা ইবি। ইবি সূত্রে খবর, কারখানায় সর্ষের তেলের সঙ্গে রাইস অয়েল মিশিয়ে তা ১০০ শতাংশ খাঁটি সর্ষের তেল বলে বাজারে বিক্রি করা হত বলে অভিযোগ উঠেছে। 


আরও পড়ুন: Coochbehar : পুরভোটে টিকিট না পেয়ে মায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী ছেলে !


কিন্তু, কীভাবে গোয়েন্দারা এই কারখানার হদিশ পেলেন? ইবি সূত্রে দাবি, দিন কয়েক আগে চেতলায় একটি দোকানে হানা দিয়ে ভেজাল তেলের হদিশ মেলে। সেই তেল নরেন্দ্রপুরের একটি দোকান থেকে আসত বলে অভিযোগ। এরপর নরেন্দ্রপুরের ওই দোকানে অভিযান চালিয়ে ডোমজুড়ের কারখানার হদিশ মেলে বলে ইবি সূত্রে দাবি।  


কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের ওসি (ফুড) যুগলকিশোর দাঁ, জানিয়েছেন, চেতলায় প্রথমে হানা দিই, সেখানে থেকে যাই নরেন্দ্রপুরে  তারপর ডোমজুড়ের হদিশ মেলে। এরা মানুষকে খাঁটি সরষের তেলের নামে ঠকাচ্ছে। 


ডোমজুড় সর্ষের তেলের কারখানার সুপারভাইজার অওধেশ তিওয়ারির দাবি, এখানে সর্ষের তেলের সঙ্গে রাইস ওয়েল মেশানো হত। এটাই আমরা বিক্রি করি। তবে আমি পুরো বিষয়টি জানি না। ইবি সূত্রে দাবি, ১০ হাজারের বেশি তেলের পাউচ ও ১ হাজারের বেশি তেলের টিন বাজেয়াপ্ত করা হয় কারখানা থেকে।