শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার : পুরভোটে টিকিট না পেয়ে মায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী ছেলে ! তৃণমূলে প্রার্থী অসন্তোষ নতুন মাত্রা পেল কোচবিহার (Coochbehar) পুরসভার (Municipality) দুনম্বর ওয়ার্ডে। বিদায়ী পুরপ্রশাসক ও তৃণমূল প্রার্থী মায়ের বিরুদ্ধে নির্দল হিসেবে লড়াই শুরু করে দিল ছেলে ! দুই প্রার্থীর প্রচারে পাড়ায় এখন পাশাপাশি ফ্লেক্স। তাতে স্পষ্ট মা বনাম ছেলের লড়াই।
কোচবিহার পুরসভায় ২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর ও সভাপতি উজ্জ্বল তর বলেন, ২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী আমার ৭২ বছরের মা। চলতে ফিরতে পারেন না। পরিষেবা দিতে পারেন না। লোকে আমাকে চাইছে।
যদিও বিদায়ী পুরপ্রশাসক ও ২ নম্বরের ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী মীনা তর বলেন, লোকে বলছে ছেলে দাঁড়িয়েছে। তাঁদের বলছি, মাতাপিতা কখনও কু-হয় না। সন্তান কু হয়।
পুরভোটে তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে মায়ের বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হয়ে লড়াইয়ে ছেলে! তৃণমূলের প্রার্থী অসন্তোষ নতুন মাত্রা পেল কোচবিহারে! কোচবিহার পুরসভার দু-নম্বর ওয়ার্ডে এখন দেখা যাচ্ছে এমনই দৃশ্য, যেখানে তৃণমূল প্রার্থী মায়ের সমর্থনে ফ্লেক্সের পাশেই নির্দল প্রার্থী হিসেবে ফ্লেক্স পড়েছে ছেলের।
কোচবিহার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, রাজ্য নেতৃত্ব যেভাবে বলবে সেভাবেই কাজ হবে। আমাদের পুরো প্রার্থী পুরোটাই করেছে রাজ্য নেতৃত্ব। খারাপ ভাল সব তাঁরাই বলতে পারবেন।
যদিও উজ্জ্বল তর বলছেন, গতকাল ২ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষ মিটিং করেছে। নাগরিকরা ডিটারমাইন্ড আমাকেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। তাঁদের সিদ্ধান্ত আমাকে মাথা পেতে নিতে হবে। রাজনৈতিক ব্যাপার রাজনৈতিক। এখানে পারিবারিক ব্যাপার নয়। মা ছেলের ব্যাপার নেই।
প্রচারে নেমে ছেলেকে পাল্টা জবাব দিচ্ছেন মা-ও। মীনা তর বলেন, আমি কারোর ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে চাই না। আমি যখন টিকিট পেয়েছি মানুষের জন্য খাটব, লড়ব। প্রচারে যাচ্ছি। লোকে বলছে, ছেলে দাঁড়িয়েছে। তাঁদের বলছি, মাতাপিতা কখনও কু-হয় না। সন্তান কু হয়।
তৃণমূলের পদ থেকে ইস্তফা না দিয়ে, উজ্জ্বল তরের নির্দল হিসেবে লড়াই, শাসক দল বরদাস্ত করে কি না, সেটাই এখন দেখার।